ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে সংঘর্ষস্থলে ডিসি-এসপি, আ.লীগ নেতারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
সিলেটে সংঘর্ষস্থলে ডিসি-এসপি, আ.লীগ নেতারা

সিলেট: সিলেটের জৈন্তাপুর দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ আওয়ামী লীগ নেতারা।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে তারা ঘটনস্থালে ছুটে যান এবং দু’পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আহ্বান জানান।

এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মুজিবর রহমান, পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং দু’পক্ষকে সমঝোতা বৈঠকের আহ্বান জানান।   

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হাউদপাড়া ও শ্যামপুর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে উপজেলার গ্রামের হরিপুর বাজারে ফতেহপুর ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়ায় দুই গ্রামের লোকজন।  

রোববার (৩ এপ্রিল) দিনগত রাত দেড়টা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চলে আসা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মাওলানা সালেহ আহমদ নামে এক মাদরাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ২০/২৫ জন আহত হয়েছেন।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ নম্বর ফতেহপুর ইউনিয়নের হাউদপাড়া গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রফিক আহমদ ও সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।

এ বিরোধ থাকা অবস্থায় রোববার জমিতে মাটি ভরাটে লোক লাগান বর্তমান চেয়ারম্যান। সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে রোববার দিনগত রাতে তারাবির নামাজের পর উত্তেজনা দেখা দেয়। রাত দেড়টার দিকে হাউদপাড়া ও শ্যামপুর গ্রামের লোকজন মসজিদে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। সোমবার সকালে হাউদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাফিজ মাওলানা সালেহ আহমদসহ কয়েকজন মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেন। তারা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর নির্মমভাবে এ হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাওলানা সালেহ আহমদ। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০/২৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে পুলিশ।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষে এক মাদরাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ২০/২৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ সংঘর্ষস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছেন।

তিনি আরও জানান, দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে জমিতে মাটি ভরাট নিয়ে আগে থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।