ঢাকা, সোমবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৭ দফা দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের সমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
৭ দফা দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের সমাবেশ

বরিশাল: ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নগরের গীর্জা মহল্লা এ কে ইনস্টিটিউশন এর হল রুমে এই বিভাগীয় সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে বরিশালের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক ও সরকারি চাকুরীজিবি সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের বিভাগীয় সভাপতি মো. গোলাম কাদের তানু’র সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. তারিকুল ইসলাম পলিন্স এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মূখ্য সমন্বয়ক ও সভাপতি বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন মো. ওয়াছের আলী, ১১-২০ ফোরামের (কেনিপ) সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ এর সভাপতি মো. নিজামুল ইসলাম ভূইয়া মিলন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. ইব্রাহীম খলিল, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ এর সভাপতি মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ।

বিভাগীয় সমাবেশে বক্তারা তাদের সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৯ম পে কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল বাস্তবায়ন করা। পে স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য ৫০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করা, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে, সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহালসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ ভাগ এর স্থলে ১০০ ভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচ্যুইটির হার ১ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি ২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা, বাজার মূল্যের ঊর্ধগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয়পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করা এবং ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারিসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং আউট সোসিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মজারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।

বিভাগীয় সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১১-২০ গ্রেডের বঞ্চিত লাখ লাখ কর্মচারীদের বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্রের ঊর্দ্ধগতির কারণে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অতি দ্রুত ৫০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা এবং বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেলসহ ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তারা।

এসময় আগামী ২০ মে তারিখের মধ্যে তাদের ৭ দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে আরো কঠোর আন্দোল গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক নেতারা।

বাংলা‌দেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
এমএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।