ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

হিন্দু রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা দূত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
হিন্দু রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা দূত

কক্সবাজার: বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত রাশেদ হোসাইনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা হিন্দু ক্যাম্প ১/ইস্ট পরিদর্শনকালে ব্র্যাক অফিসে অনুষ্ঠিত এক সভায় যোগ দেন তারা।

এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ক্যাম্পে অবস্থানরত হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও অন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ক্যাম্প নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. নাইমুল হক বলেন, বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত রাশেদ হোসাইনের নেতৃত্বে সাত সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল কুতুপালং হিন্দু শরণার্থী ক্যাম্পে আসে। সেখানে প্রায় একঘণ্টা অবস্থান করে তারা। এ সময় এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের অফিসে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তারা ব্র্যাকের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন এবং হিন্দু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
 
পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দল কোনাপাড়ার উদ্দেশে হিন্দু ক্যাম্প ত্যাগ করেন এবং সেখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের নিয়ে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার লাইভলিহুড প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

ইন্টারসেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) ন্যাশনাল কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার সৈয়দ মো. তাহফিম বলেন, প্রতিনিধি দল ক্যাম্পে হিন্দু শরণার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন।

ক্যাম্পের মাঝি মিন্টু রুদ্র (৬০) জানান, হিন্দু রোহিঙ্গা নেতারা প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। এছাড়াও দ্রুত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আগ্রহের কথা জানান তারা।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আসার পর এখানে পূজা-অর্চনা করতে সমস্যা হচ্ছে কিনা, পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছি কিনা এবং চলাফেরা করতে কোনো বাধা আছে কিনা এসব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের কষ্টের সীমা নেই। ছোট্ট একটি ঘরে পাখির মতো করে বসবাস করছি। যত দ্রুত সম্ভব মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
এসবি/এসআইএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।