ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রেণিকক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শিক্ষককে মারধর!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
শ্রেণিকক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শিক্ষককে মারধর!

পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে শ্রেণিকক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের লেবুজিলবুনিয়া গ্রামের লেবুজিলবুনিয়া ফাজিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে পরে ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ও তারা হামলাকারীদের বহন করা একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হামলায় আহত শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান ওই মাদরাসার আরবী বিভাগের শিক্ষক। আর হামলাকারীরা হলেন ওই ইউনিয়নের ঝিলবুনিয়া গ্রামের মো. শরিফুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই সেনা সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম।

হামলায় আহত শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানান, ওই শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় শরিফুর ও তার ভাই সেনা সদস্য রফিকুল তাকে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। সেনা সদস্য রফিকুল পটুয়াখালীর লেবুখালী সেনা ক্যাম্পে চাকরিরত আছেন।

এ বিষয়ে সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম ওই শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তার বড় ভাই শরিফুর রহমান জানান, ওই শিক্ষক তার বিধবা বোনকে মোবাইলে উত্ত্যক্ত করায় তাকে একটি ধাক্কা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বৈঠাকাটা ফাঁড়ি পুলিশের ইন্সেপেক্টর মো. আউয়াল বাংলানিউজকে জানান, খবর শুনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন। তারপরও কোনো অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চেয়ারম্যান জানান, নারী ঘটিত একটি বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। তাই উভয়ের মান সম্মানের চিন্তা করে বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে ওই সেনা সদস্যকে শিক্ষকের পা ধরে মাফ চাওয়ানো হয়েছে।

ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, শিক্ষক বদিউজ্জামানেরও অপরাধ রয়েছে। তাই পুলিশ উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। শুনেছি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটমাট করে দেয়া হয়েছে।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আব্দুল্লাহ আল সাদীদ জানান, শিক্ষককে মারধরের খবর শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে কি হয়েছে তা জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।