ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একুশ বছর ধরে এভাবেই পড়ে আছে এক্স-রে মেশিনটি  

বদরুল আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
একুশ বছর ধরে এভাবেই পড়ে আছে এক্স-রে মেশিনটি
  একুশ বছর ধরে এভাবেই পড়ে আছে এক্স-রে মেশিনটি  

হবিগঞ্জ: মাদার বোর্ড বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে একুশ বছর ধরে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। এজন্য হাওরাঞ্চলের লোকজন প্রতিদিনই সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।


 
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২০০০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সিমেন্স কোম্পানির ৩০০ এমএম ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এক্স-রে মেশিন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। কিন্তু এর মাত্র বছর দেড়েক পরই মেশিনটির মাদারবোর্ড বিকল হয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বিষয়টি একাধিকবার ওপরের মহলে জানালেও ২১ বছর ধরে সেটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
 
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের ১১২ নম্বর কক্ষে এক্স-রে মেশিনটি পড়ে আছে। সরঞ্জাম খোলা ও সেগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা। পড়ে থাকা যন্ত্রপাতির অধিকাংশেই মরিচা ধরেছে।
 
এদিকে মেশিনটি অকেজো থাকায় হাসপাতালে আসা সেবাপ্রার্থীরা বাইরে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে এক্স-রে করাচ্ছেন। এতে রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। অস্বচ্ছল রোগীরা টাকার জন্যেও বিপাকে পড়ছেন।
 
হাসপাতালে আসা কৌশিক হাসান বলেন, কিছুদিন আগে আমার সঙ্গে থাকা একজন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন। তাকে হাসপাতালে আনা হলে এক্স-রে করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু হাসপাতালের মেশিনটি অকেজো থাকায় এক কিলোমিটার দূরে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রে করাতে হয়েছে। রিকশায় সেখানে যেতে রোগীর অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।
 

ওয়াহিদুল মিয়া জানান, তিনি একাধিকবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এক্স-রে করাতে না পেরে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তিনি শিগগির মেশিনটে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
 
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসেন বলেন, হাসপাতালের ৫০ শয্যা ভবনের কাজ শেষ হলে আমরা নতুন আরেকটি মেশিনের জন্য চাহিদাপত্র পাঠাব। এরপর রোগীদের দুর্ভোগ দূর হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।