ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জামালপুর ও রংপুরে হবে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
জামালপুর ও রংপুরে হবে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি

ঢাকা: জামালপুর ও রংপুরে হচ্ছে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। এ লক্ষ্যে শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি জামালপুর আইন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি রংপুর আইন ২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুটো আইন একই জিনিস। সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের পল্লী উন্নয়ন ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেসরকারি খাতে বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোগকে আর কার্যকর করার জন্য আমাদের বার্ড (কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি) ও আরডিএ’র (পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া) আদলে আরও কিছু একাডেমি প্রয়োজন। কারণ যে পরিমাণ কাজ বেড়ে গেছে, তাতে এ দুটি একাডেমি পর্যাপ্ত নয়। এজন্য দুটি আইন নিয়ে আসা হয়েছে। দুটি আইন একই রকম।

তিনি বলেন, আইনের খসড়ায় ২৩টি ধারা রয়েছে। এ আইনের মাধ্যমেই একাডেমি দুটি প্রতিষ্ঠিত হবে। এগুলো বার্ড এবং আরডিএ’র আদলেই পরিচালিত হবে। একটা বোর্ড থাকবে। কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বোর্ড আইন, বিধি ও সরকারের নির্ধারিত নির্দেশনা অনুসরণ করবে। ২১ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন পদাধিকার বলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী। ভাইস-চেয়ারম্যান হবেন পদাধিকার বলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব। সদস্য সচিব থাকবেন একাডেমির মহাপরিচালক।

প্রতিষ্ঠান দুটির কাজ সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কাজ হবে মূলত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, কিছু কিছু পাইলট প্রজেক্ট করা। পল্লী উন্নয়ন ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে তারা ডিপ্লোমা দেবে, সার্টিফিকেট কোর্স করবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন বোধে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে তারা এফিলিয়েটেড থাকবে। প্রফেশনাল ট্রেনিংগুলোও তারা করবে। পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক অনেক প্রশিক্ষণের বাইরেও তারা যখন আমাদের ব্যাকলক বেড়ে গেল তখন বিভিন্ন ক্যাডারের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংগুলো এসব একাডেমিকে সম্পন্ন করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হবে গবেষণার কাজ। গবেষণা হবে তাদের মৌলিক বিষয়। নতুন নতুন পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তি বা কর্মসূচি বা কার্যক্রম ভালো করে করা। তাদের দায়িত্ব থাকবে ব্যাপক গবেষণা করা, পাইলট প্রজেক্ট করা, সরকারের বিভিন্ন সক্ষমতা বাড়ানোর ভেন্যু হিসেবে কাজ করা। মাঠ পর্যায়ের কন্ট্রাক্ট বডি হিসেবে সেগুলোর কার্যকারিতা কতটুকু হবে সেই বিষয়ে টেস্ট করা।

সচিব বলেন, প্রতি চার মাসে বোর্ডের একটি মিটিং হবে। চেয়ারম্যান এগুলো ঠিক করে দেবে। সরকার ডিজি নিয়োগ দেবে। যুগ্মসচিব বা এর উপরের কোনো কর্মকর্তাকে নির্ধারিত শর্তে সরকার ডিজি নিয়োগ দেবে। কর্মচারীদের নিয়োগ বোর্ডের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী হবে। একটা তফসিলি ব্যাংকে একাডেমির তহবিল থাকবে। পরবর্তী সময়ে হয়তো যশোরেও হয়তো একটা আরডিএ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮,২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।