খাগড়াছড়ি: আঁকাবাকা পাহাড়ি পথ পেরিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে আলুটিলা পুর্নবাসন গ্রাম। রাস্তা থেকে উঁচু-নিচু পথ।
পানির এমন অভাবনীয় কষ্টের কথা জেনে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের পক্ষ থেকে সদর জোনের তত্ত্বাবধায়নে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পুর্নবাসন ১ ও ২ এলাকাবাসীর জন্য প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার লিটারের ধারণক্ষমতার পানির ট্যাংক, বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে পানি সরবরাহে পাম্প ও দীর্ঘ পানির লাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে আলুটিলা পুর্নবাসন প্রকল্প এলাকায় এ পানির সরবরাহের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর মো. জাহিদ হাসান, সদর জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রিয়াজুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মো. শিহাব উদ্দিন, মাটিরাংগা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা, ২ নম্বর মাটিরাঙ্গা আলুটিলা পুর্নবাসন পাড়ার মেম্বার শান্তিময় ত্রিপুরা, ২০৪ নম্বর আলুটিলা মৌজার কার্বারী সূর্য কিরণ ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাহাড়ে কোন সন্ত্রাসীর স্থান নেই। তারা শুধু চাঁদাবাজি করে নিজেরা আরাম-আয়েশ করেন। জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় মানুষের পাশে আছে, ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।
এ সময় তিনি স্থানীয়দের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীরা স্বল্প সংখ্যক এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা গেলে সন্ত্রাস নির্মূল সম্ভব বলে তিনি জানান।
সুপেয় পানি পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানান তারা। সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
১৯৮৫ সালে নির্মাণ করা হয় খাগড়াছড়ি জেলাধীন পুর্নবাসন ১ ও ২ প্রকল্প দুটি। জেলা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে আলুটিলা প্রকল্প এলাকায় ১২০টি ও ৪০টি পরিবারের সর্বমোট ১৬০ পরিবারে ৩৫৭ সদস্যের বসবাস। চলতি বছরের মার্চ মাসের ২৫ তারিখে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের দৃষ্টি গোছর হলে দ্রুত সময়ের সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেন সেনাবাহিনী। ফলে দীর্ঘ ৩৭ বছর পর পাহাড়ি গ্রামবাসীর কষ্টের দিনের ইতি টেনে স্বপ্ন পূরণ করলো সেনাবাহিনী। গত ১৮ এপ্রিল পাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করে গত ২৯ এপ্রিলে ১২ দিনের মাথায় পাম্প স্থাপনের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
এডি/এএটি