ঢাকা, সোমবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ মে ২০২৪, ১৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মঠবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাধা, স্থানীয়দের হামলায় আহত ১৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ১, ২০২২
মঠবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাধা, স্থানীয়দের হামলায় আহত ১৪

পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের হামলায় ৩ চায়না নাগরিকসহ ৯ জন ও স্থানীয় ৫ জনসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহত অন্যরা চায়না প্রজেক্টে কর্মরত শ্রমিক বলে জানা গেছে।

হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছেন।

রোববার (০১ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাদুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে জেলার ভান্ডারিয়া হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহতরা চায়না নাগরিকরা হলেন- ম্যানেজার মাজিমাও (৩১), সুপারভাইজার চ্যাং ডিউ (২৭), সুপারভাইজার লেই বো (৩৬)। অন্য শ্রমিকরা হলেন- মো. জিল্লুর রহমান (২৬), মো. ইলিয়াস (৩৪), নিজাম শিকদার (৪০), মানিক (৩২), বাহাদুর উকিল (৬০), জাকারিয়া খান (৩০)। তাদের মধ্যে মারাত্মক আহত জাকারিয়া খানকে  বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাহাদুর উকিলকে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া স্থানীয় আহতরা হলেন- রুহুল আমীন (৩০), নজরুল শরীফ (২৫), শাহাদাৎ হোসেন (৩০), আজিজ মিয়া (৫৫), সোহাগ শরীফ (২১)।

ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি জানান, আহত অবস্থায় ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ৩ জন চায়না নাগরিক ও ৬ জন বাঙালি জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জন চায়না নাগরিকের হাতে ও পায়ে এবং ১ জনের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। মো. বাহাদুর উকিল নামে একজন বাঙ্গালী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল বাংলানিউজকে জানান, বেঁড়িবাধ নির্মাণের জন্য রোববার সকালে ভেপু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে গেলে এলাকাবাসী তাতে বাধা দেয়। এ সময় চায়না প্রোজেক্টের শ্রমিকদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এতে ৩ জন চায়না নাগরিক ও ৬ জন বাঙ্গালি শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় বাদুরা গ্রামের এজেয়র আলীর ছেলে টুকু (৪৮), বাদশা শরীফের ছেলে রায়হান শরীফ (২৮), আনোয়ার শরীফের ছেলে শফিকুল ইসলামকে (৩২) আটক করেছে। প্রকল্পের পক্ষ থেকে দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়।

জানা যায়, নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে জটিলতা ও এলাকার চাহিদাকে প্রাধান্য না দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় এলাকাবাসী ক্ষুব্দ হয়ে কাজে বাধা দেয়।

স্থানীয় বাদুরা বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ওই বেঁড়িবাধ সংলগ্ন এলাকায় সোবাহান শরীফ মাদরাসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হাসানিয়া দাখল মাদরাসা রয়েছে। বেড়িবাঁধে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্থানীয়রা কাজে বাধা দেন। এতে প্রকল্পের লোকজন স্থানীয়দের ওপর হামলা করেন। ওই হামলায় স্থানীয় ৫ জন আহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad