ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

খুশির ঈদ ফিরলো স্বাভাবিকতায় 

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, মে ২, ২০২২
খুশির ঈদ ফিরলো স্বাভাবিকতায়  ঈদগাহ ময়দানের গেট। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বাংলাদেশে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে এই খুশির ঈদ।

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। দুই বছর করোনার কারণে খোলা মাঠে কিংবা ঈদগাহে হয়নি ঈদের জামাত। বন্ধ ছিল কোলাকুলি, হাত মেলানো। এবার সেইসব বিধি-নিষেধ কেটেছে। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় ঈদের আনন্দ ফিরছে পূর্ণ মাত্রায়।

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে গ্রামে ফিরেছেন লাখে মানুষ। বাস-লঞ্চ-ট্রেন এবং আকাশপথে কয়েক দিন আগে থেকেই পাড়ি জমিয়েছেন তারা। সড়ক ও ফেরিতে দীর্ঘ জট কিংবা ট্রেনে ঠাসাঠাসি করে হলেও বাড়ি গেছেন প্রিয়জনের কাছে। ঈদের আগের দিনও বাড়িমুখি মানুষ ছিল রাস্তায়, উদ্দেশ্য প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন।

করোনা ভাইরাস মহামারির প্রকোট দেখা দেওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ২০২০ সালে বাংলাদেশেও বিধি-নিষেধের শৃঙ্খলে বেঁধে যায় মানুষ।

খোলা মাঠে কিংবা ঈদগাহে হয়নি ঈদ জামাত। গণটিকা ও সচেতনতায় দুই বছর পর দেশে করোনার সংক্রমণ নেই বললেই চলে। এখন শৃঙ্খলামুক্ত মানুষ। এবার ঈদ উদযাপন হবে বিধি-নিষেধ ছাড়াই।

ঈদ যে এবার জমে উঠবে তা কয়েকদিন আগে থেকেই শপিংমল, দোকানপাট এবং বাড়িমুখি জনস্রোতই প্রমাণ করেছে। নিজ বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের আগে তাদের জন্য কেনাকাটার কমতি ছিল না। মহামারির কারণে দুই বছর মানুষের হাতে টাকা-কড়িতেও টান পড়েছিল। তবে এবার অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে ঈদের আগে।

ঈদের অন্যতম অনুসঙ্গ ঈদের জামাত, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আর সকাল ৭টা থেকে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত শুরু হবে। এক ঘণ্টা পর পর সেখানে ঈদের শেষ জামাত সকাল পৌনে ১১টায়।

প্রধান এই উৎসবের আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।  

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আমাদের মধ্যে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মধ্যে, গ্রাম-গঞ্জে, সারাবাংলায়, সারাবিশ্বে। এদিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে সামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ – এ প্রত্যাশা করি।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও বিশ্বের সব মুসলমানকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।  

মহামারি থেকে সতর্কও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আমি অনুরোধ করব, যথাসম্ভব গণজমায়েত এড়িয়ে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি এবং আল্লাহতায়ালার দরবারে বিশেষ দোয়া করি যেন এই সংক্রমণ থেকে আমরা সবাই দ্রুত মুক্তি পাই।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২২
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।