টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের এবং কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে বেধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১১ মে) সকালে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের মরিচা পাইকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মরিচা পাইকপাড়া গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে নাগবাড়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ মিয়ার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো প্রবাসীর স্ত্রী লায়লা আক্তারের। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হয়েছে। মীমাংসা না হওয়ায় সেই আক্রোসে নানা ভয়ভীতি, কু-প্রস্তাব ও বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালান ওই ইউপি সদস্য।
সম্প্রতি মোশারফ তার এক সহযোগীকে নিয়ে জোরপূর্বক ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই নারী চিৎকার শুরু করলে মোশারফ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল টাঙ্গাইল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোশারফ তার পরিবারের লোকজন দিয়ে বুধবার (১১ মে) সকালে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। এরপর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দুপুরের দিকে ওই নারীকে কালিহাতী থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মোশারফ এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেও কোনো কথা বলতে সাহস পায়না। তবে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তার স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় মোশারফ তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তিনি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোশারফ তার মা-বোনদের দিয়া তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। বাড়ি থেকে না যাওয়ায় কাঁঠাল গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে তাকে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, আমার বৈধ জমি থেকে আমার মা-বোন কাঁঠাল পাড়তে গেলে ওই নারী বাঁধা দেয়। পরে এক পর্যায়ে তাকে গাছে বেঁধে রাখে।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এনএটি