রাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারা ও পুঠিয়ার ভোজ্য তেলের বিপুল পরিমাণ অবৈধ মজুদ ধরা পড়ার পর এবার মহানগর এলাকার বিভিন্ন গোডাউনে ভোজ্যতেলের মজুত খতিয়ে দেখছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (১১ মে) দুপুরে মহানগরীর সাহেব বাজার ও আরডিএ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ জানান, দেশে ভোজ্য তেল মজুদ নিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি ও কৃত্রিম সংকট তৈরির কারসাজি চলছে। এজন্য দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে বুধবার মহানগরীর সাহেব বাজার আরডিএ মার্কেটের মজিবর স্টোর, নূর ট্রেডার্স ও মোহিনী ট্রেডার্সের গোডাউন পরিদর্শন করা হয়। এখানে ১১৪ ব্যারেল ভোজ্যতেল পাওয়া যায়। তবে পরে সেগুলোর বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়।
এরপর সেখানে আরও খতিয়ে দেখা হয় যে, খোলা ভোজ্যতেলের মজুদ কী পরিমাণ রয়েছে, প্রতিদিনের সরবরাহ সচল আছে কী না এবং কত দামে সেই তেল বিক্রি করছেন। তারা কাগজপত্র দেখানোর পর কোনো কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
কিন্তু এস.জেড এন্টারপ্রাইজকে প্রতিশ্রুত পণ্য (বোতলজাত সয়াবিন তেল) যথাযথভাবে বিক্রি না করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের সময় প্রথমেই এস.জেড এন্টারপ্রাইজের ডিলার শামসুজ্জামান জানান, তার কাছে তেল নেই। তিন লিটারের মাত্র তিনটি বোতল ছাড়া আর কোনো তেল মজুদ নেই। অথচ পরে তার গোডাউনে ২৯টি এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। মোট ৩৮ লিটার বোতলজাত তেল মজুত থাকার পরও তেল নেই বলে ক্রেতাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপরাধে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এসএস/এএটি/এনটি