ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

গৃহশ্রমিকদের জন্য আইন ও নীতির দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
গৃহশ্রমিকদের জন্য আইন ও নীতির দাবি ছবি: শাকিল

ঢাকা: গৃহশ্রমিকদের অধিকার, মর্যাদা ও সুরক্ষায় গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, আইনি কাঠামো ও গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করাসহ নানাবিধ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)।

রোববার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মহান মে দিবসের চেতনা ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক হিসেবে গৃহশ্রমিকদের অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।

সমাজে গৃহশ্রমিকদের সম্মানজনক অবস্থান তৈরির মাধ্যমে দেশের নারী গৃহশ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণ সাধনে গৃহশ্রমিকদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ, জিডিপিতে গৃহশ্রমিকদের অবদান পৃথকভাবে চিহ্নিত করা, সাপ্তাহিক, অসুস্থতাজনিত, মাতৃত্বকালীন ও উৎসব ছুটি বাধ্যতামূলক করা, আইনি সুরক্ষা, চাকরির নিয়োগপত্র, রাষ্ট্র কর্তৃক আইএলও কনভেনশন-১৮৯ অনুসমর্থন, সামাজিক নিরাপত্তা, সংগঠিত হওয়ার আইনি অধিকার, যথা সময়ে বেতন নিশ্চিত করা ও প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

সভায় বিলসের নির্বাহী পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটা করা হচ্ছে না। প্রায় ৮০ লাখ মানুষ গৃহশ্রমিকের কাজ করছে। সমাজে তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা উচিত।

১৩৬ বছর পরেও মে দিবস প্রাসঙ্গিক জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, যদিও মে মাসের শেষ সময় কিন্তু মে দিবসের আলোচনা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। গৃহশ্রমিকদের এখনও আমরা শ্রমিক হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত করতে পারিনি। শ্রম আইন সংশোধনের জন্য আমরা নানা সুপারিশ দিয়েছিলাম কিন্তু যখন সংসদে উঠল তখন আর সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা হলো না। বেশ কিছু লবি এখানে কাজ করেছে, এগুলো বিশেষ করে ছিল গার্মেন্টস শিল্পের।

তিনি বলেন, প্রথমদিকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাথরুমে যেতে দেওয়া হত না, উড়না দিয়ে মেশিনের সঙ্গে বেঁধে রাখা হত। গার্মেন্টস শ্রমিকরা লড়াই করে তাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছেন। গৃহশ্রমিকদেরও তাদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। আইন করার কথা বলা হয়েছে কিন্ত এখনও হয়নি। আইন করতে হলে গৃহশ্রমিকদের সংগঠিত হতে হবে। শ্রমিক আন্দোলন যতক্ষণ পর্যন্ত জোরদার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আইন আসবে না।

সভাপতির বক্তব্যে বিলসের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেইন বলেন, মালিক শ্রমিক ঐক্যের কথা বলা হয়। কিন্তু মালিক শ্রমিক ঐক্য কখনোই সম্ভব না। কারণ শ্রমিক যা কাজ করে সবসময় তার থেকে কিছুটা বেশি আয়ের আশা করে অপরদিকে মালিক সবসময় শ্রমিকদের নিয়ে অতিরিক্ত কাজ করিয়ে কম পারিশ্রমিক দিয়ে শ্রম শোষনের চেষ্টা করে। তাই মালিক আর শ্রমিকের মধ্যে ঐক্য খুবই কঠিন।

বিলসের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিলসের পরিচালক নাজকা ইয়াসমিন, নির্বাহী পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।