ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পরিবেশ রক্ষায়ও অভিযান প্রয়োজন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
পরিবেশ রক্ষায়ও অভিযান প্রয়োজন

ঢাকা: ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ভেজাল বিরোধী অভিযানের মতো পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরেরও অভিযানে যাওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

শনিবার (৪ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গ্রীণ এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট’  সংগঠনের আয়োজনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২, প্রকৃতির ঐক্যতানে টেকসই জীবন: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, পরিবেশ রক্ষা না করে পরিবেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে মানুষ যদি মনে করে আমরাই পৃথিবীতে বাস করবো তবে মানুষ এক সময় ডায়ানোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। নদী, মাটি, বায়ু, শব্দসহ সব ক্ষেত্রেই পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, আমাদের দেশে এই পরিবেশ রক্ষায় একটি মন্ত্রণালয়ও আছে, কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কোনো কর্মকাণ্ড আমাদের চোখে পড়েনি। শিল্প কারখানার বজ্র, ইটভাটার মাধ্যমে দূষণ হচ্ছে অহরহ। আমাদের দেশে ভেজালবিরোধী অভিযান করছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর অথচ নিষিদ্ধ পলিথিন গ্রামে গঞ্জে, শহরে মানুষের হাতে হাতে, কিন্তু কোনো অভিযান নেই। আমাদের পরিবেশমন্ত্রী, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার পেয়েছেন, আর আমাদের পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তর কি করছে? বছরে দুই তিনটি গাছ লাগিয়ে দায় সাড়েন পরিবেশমন্ত্রী। পরিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, এক জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলের ‘গ্রীণ এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট’ এর সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিবেশ রক্ষায় যুদ্ধে নামতে হবে।

আলোচনা সভায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন বলেন, নিজের বাড়ি, নিজের আঙ্গিনার আশপাশের গাছগুলো যেন যত্ন করি। এই গাছগুলো যেন কেটে না ফেলি। একটি গাছ কাটার আগে ভাবতে হবে আর কয়টা গাছ লাগানো যায়, গাছ কাটার আগে পরিকল্পনা করতে হবে। সবাইকে গাছ কাটা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলেই আমাদের পরিবেশ রক্ষা হবে।

প্রকৃতির ঐক্যতানে টেকসই জীবন: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত শীর্ষক আলোচনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিহির লাল সাহা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মল্লিক আকরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, স্টামফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আহম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরীন, পরিবেশ ও মানবাধিকারকর্মী ফারজানা মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক।

সভায় পরিবেশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করা ও গাছ লাগানোর স্বীকৃতি হিসেবে সংগঠনের পাঁচ জেলা কমিটিকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন কক্সবাজার জেলা গ্রীণ এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট ইউনিট, দ্বিতীয় হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা ইউনিট, তৃতীয় হয়েছেন গাজীপুর জেলা ইউনিট। আর বিশেষ পুরস্কার হিসেবে ময়মনসিংহ মহানগর এ দোহার উপজেলা ইউনিট পুরস্কার পেয়েছেন। বিজয়ী প্রত্যেক ইউনিটকে একটি গাছ, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।

গ্রীণ এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন মাহী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।