ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নতুন আইনে কাজের পরিধি বাড়বে ভোক্তা অধিকারের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
নতুন আইনে কাজের পরিধি বাড়বে ভোক্তা অধিকারের

ঢাকা: নতুন আইনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাজের পরিধি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

সোমবার (১৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ভোক্তা অধিকার নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিআরইউ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সফিকুজ্জামান বলেন, বিদ্যমান আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টা এখন কেবিনেটে পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তারপর পার্লামেন্টে ওঠবে।

নতুন আইনে ই-কমার্সের বিষয়টিও সংযুক্ত থাকবে। এছাড়াও সংশোধিত আইন যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধিদপ্তরও জানে বাজারে যে মিনিকেট চাল পাওয়া যায়, এই নামে কোনো চালের চাষই হয় না। মিলগুলোতে অভিযান চলবে যেন অনিয়ম না করতে পারে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি কারো কাছে দ্রব্য/পণ্য কেনার রশিদ না থাকে তবে অডিও/ভিডিও রেকর্ড, অর্থাৎ কোনো একটি প্রমাণ লাগবে যে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া যায়। একই সঙ্গে কেউ ভুয়া অভিযোগ দিলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে।

একই অপরাধ করে দ্বিতীয়বার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ধরা পড়লে দ্বিগুণ শাস্তি/জরিমানা দেওয়া হবে। কেউ সুতোর টান দিয়ে ধরে রাখিনি এজন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করতে পারছেন বলে দাবি করেছেন ভোক্তা অধিকারের এই মহাপরিচালক।

ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক।

তিনি বলেন, দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা কত আমরা জানি না। দেশে অনেক আইন আছে কিন্তু আইনের সুফলতার দিক থেকে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ কততম তা কেউ জানে না।

এদেশে  ম্যানেজ করে সব অবৈধ ও অনিয়মতান্ত্রিক কাজ করা যায় বলে অভিযোগ করেন ঢাবির এ অধ্যাপক।

ভোক্তাদের অনেকে অবিবেচক দাবি করে তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। যাকে কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, তারা এতে কিছু মনে করছে না। ফলে সার্বিক দিক থেকে সুফলতা আসছে না।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ। কিন্তু কারও অধীনে পরিচালিত হয়ে খুব বেশি সুবিধা হয় না। স্বনিয়ন্ত্রিত হতে হয় সঠিকভাবে কাজ করতে হলে বলে মন্তব্য করেন ঢাবি অধ্যাপক তৌহিদুল হক।

ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব।

অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক হাসান মুহাম্মদ শাহরিয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ১৩ জুন
এনবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।