ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অবকাঠামো খাতে নয়, এবার বাজেটে দক্ষ ও প্রায়োগিক শিক্ষায় বরাদ্দ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
অবকাঠামো খাতে নয়, এবার বাজেটে দক্ষ ও প্রায়োগিক শিক্ষায় বরাদ্দ  ছবি: রাজীন চৌধুরী 

ঢাকা: শিক্ষা উপমন্ত্রী মাহবুবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষাখাতে অবকাঠামো নির্মাণে আর ব্যয় নয়। অবকাঠামো হবে কিন্তু সেগুলো চালানোর জন্য দক্ষ লোক পাচ্ছি না তাই এবারের বাজেটে দক্ষ ও প্রায়োগিক শিক্ষায় বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছি।

 

মঙ্গলবার (২১ জুন) জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ৮১ হাজার কোটি টাকার শিক্ষা বাজেট দেওয়া হয়েছে। যেটা বিগত বিএনপি সরকারের সমগ্র বাজেটের চেয়ে বেশি। জিডিপির অনুপাতে যেন শিক্ষা বাজেট বাড়ে সেদিকে যেমন নজর আছে, তেমনি দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে। জনগণের সম্পদ নষ্ট করা যাবে না।  

জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন,  কবিতা, সংগীত, বক্তৃতার মধ্য দিয়ে উপস্থাপনার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করছে শিক্ষার্থীরা। পড়াশোনার চাপের বদলে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে তারা। আনন্দময় শিক্ষা অর্জন করছে। প্রায়োগিক শিক্ষা ও জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি সম্বন্ধেও শিক্ষার্থীদের ধারণা দিতে হবে।  

তিনি অরও বলেন, গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে বিজ্ঞাননির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করা হবে।

'পড়ালেখা করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে' এ প্রবাদের সমালোচনা করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে শুধু সমাজ পরিচালিত হয় না। সমাজে নার্সের প্রয়োজন, অন্যান্য পেশারও প্রয়োজন আছে। কোনো পেশাকে ছোট করে দেখা যাবে না।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কেরানী পয়দা হয় বলে কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। বর্তমান সরকার নতুন শিক্ষাক্রমের মধ্যে দিয়ে সেটার বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে।  

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, তোতাপাখির মতো ইতিহাস শেখানো হতো। পাঠ্যবইয়ে লেখা ছিল হানাদার বাহিনী কিন্তু এটা যে পাকিস্তানি বাহিনী এটা উল্লেখ করতো না পাকিপন্থীরা।  

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের বাইরে যেন প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতেও সময় দেয়। তাদের মাঝে এসব সহশিক্ষামূলক বই ছড়িয়ে দিতে হবে যেন নতুন নতুন বিষয়ে জানতে পারে।

২১৩ জন জাতীয় পর্যায়ে সেরা শিক্ষার্থী পুরস্কার অর্জন করেন। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন জাতীয় পর্যায়ে সেরা হওয়া যশোর দাউদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী শেখ সামিহা ইমরানা দিশা ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় পর্যায়ে সেরা হওয়া পিনাক মুগ্ধ দাস।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
এনবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।