ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশাল শহরাংশের ১১ কি.মি মহাসড়ক হবে প্রশস্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
বরিশাল শহরাংশের ১১ কি.মি মহাসড়ক হবে প্রশস্ত

বরিশাল: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর যানবাহনের চাপ বাড়বে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে। আর বাড়তি যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এরইমধ্যে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছেন।

 

তবে দক্ষিণাঞ্চলের হাব খ্যাত বর্তমানে শহর অংশের মহাসড়ক নিয়ে এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাই বরিশাল শহরাংশের প্রায় ১২ কিলোমিটার ২৪ ফুটের মহাসড়ক নিয়ে শঙ্কার কথা বলছেন পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা।

তাদের মতে, বরিশাল শহরের ওপর দিয়ে সাগরকন্যা কুয়াকাটাসহ বিভাগের বাকি পাঁচ জেলা অর্থাৎ ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলার গাড়িগুলো চলাচল করে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই এ মহাসড়কে বর্তমানের চেয়ে দেড় থেকে দুই গুন পরিবহন বাড়বে। তখন মহাসড়কের বরিশাল শহরাংশের ওপর চাপও বাড়বে। আর এতে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তি বাড়বে দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের।

এ ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বরিশাল নগরের গড়িয়ারপাড়স্থ সিটি গেট থেকে কীর্তনখোলা নদীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ঢাল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করার কথা জানিয়েছেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, সড়ক প্রশস্তকরণের বিষয়টি প্রথমে আমাকে অবগত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এরপরই তাদের নিয়ে আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অফিসিয়ালি কথা বলেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে বাইপাস সড়ক হবে। আর সেটি হওয়ার আগে বর্তমান মহাসড়ক নিয়ে কাজ করলে, সেটি আর তাদের কাজে আসবে না। তবে আমি তাদের বলেছি, বাইপাস সড়ক তৈরিতে যে দুইবছর সময় লাগবে এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা কীভাবে চলাচল করবে। শহরের মধ্যের এই সরু সড়ক দিয়ে যাতায়াতে যখন যানজটে মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে তখন তো তারা আপনাদের নয় আমার সমালোচনা করবে। তাই আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ১১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করার পদক্ষেপ নিন, প্রয়োজনে আমি এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন সব ধরনের সহায়তা করবো। বাইপাস হওয়ার পরেও বর্তমান সড়কটি তো বরিশালের জনগণেরই কাজে আসবে, তাহলে প্রশস্ত হলে সমস্যা কি।

মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, সামান্য কিছু জায়গা ব্যতিত ১১ কিলোমিটার সড়কের দুপাশেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। তবে এ মুহুর্তে আমরা ২৪ ফুট প্রশস্ত এ মহাসড়কটিকে ৩৬ ফুটে রূপ দিতে চাই। এরপরও প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম জায়গাগুলোতে সড়ক আরও বাড়াতে পারবো।

তিনি বলেন, ১১ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে আমার মায়ের নামে নির্মাণাধীন পার্কও রয়েছে। প্রয়োজন হলে সেটিও ভেঙে ফেলা হবে। জনগণের ভোগান্তি করে আমি কোনো কাজ করবো না। সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সরকারি জায়গায় যাদের স্থাপনা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সেগুলোতে হাত দেওয়ার প্রয়োজন হবে না, নগরবাসীই নিজেরা সরিয়ে নেবেন। আর যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো আমি আপাতত উচ্ছেদ করবো না, নগরবাসী নিজেরাই সরিয়ে নেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।