ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

রাশিয়া ২ লাখ মে. টন গম রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
রাশিয়া ২ লাখ মে. টন গম রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা: গম ও আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানির জন্য সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং রাশিয়া দুই লাখ মে. টন গম রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা জানান।

বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন খাদ্যশস্যের সঙ্গে গম ও আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গম আমদানির জন্য বিভিন্ন রপ্তানিকারক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাশিয়া দুই লাখ মে. টন গম রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া ভারত থেকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গম আমদানির লক্ষ্যে দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে খাদ্য মন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক খাদ্যশষ্যের (চাল ও গম) মোট উৎপাদন ৩৮৬ দশমিক ৯৩ লাখ মে.টন (চাল ৩৭৬ দশমিক ০৮ লাখ মে. টন ও গম ১০ দশমিক ৮৫ লাখ মে. টন) চূড়ান্ত করা হয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রাক্কলিত খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদনের পরিমাণ ৪০১ দশমিক ৩৬ লাখ মে. টন (চাল ৩৮৯ দশমিক ১০ লাখ মে. টন এবং গম ১২ দশমিক ২৬ লাখ মে. টন)। বিবিএস পরিচালিত হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে অনুসারে মানুষের দৈনিক গড় খাদ্যশস্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৮৭ গ্রাম (চাল ৩৬৭ দশমিক ২ গ্রাম এবং গম ১৯ দশমিক ৮ গ্রাম)।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৩০ মিলিয়ন হলে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন ছিল ২৩৯ দশমিক ১৪ লাখ মে. টন (চাল ২২৬ দশমিক ৯০ লাখ মে. টন এবং গম ১২ দশমিক ২৪ লাখ মে. টন), যা ২০২০-২১ অর্থবছরের খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদনের তুলনায় কম। আবার দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ বিবেচনায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারিতে দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১৭১ দশমিক ৫৩ (প্রাক্কলিত) মিলিয়ন। সে হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবছরের দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২৪২ দশমিক ৩০ লাখ মে. টন, সেটাও অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম, সুতরাং চাহিদা অনুযায়ী দেশে খাদ্যশস্যের ঘাটতি নেই।

সরকারি খাদ্য গুদামসমূহে গত ২০ জুন সর্বমোট ১৫ লাখ ২১ হাজার মে. টন খাদ্যশস্য মজুদ ছিল। খাদ্য গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ আরও বৃদ্ধির জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ২০ লাখ মে. টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান আছে। বৈদেশিক উৎস থেকেও গম আমদানির কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।