ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কমলাপুরে কাউন্টার ফাঁকা, শেষ হল ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২২
কমলাপুরে কাউন্টার ফাঁকা, শেষ হল ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি

ঢাকা: অভিযোগ, উচ্ছ্বাস, অপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হল আজ মঙ্গলবার। এর মধ্য দিয়ে শেষ হল পাঁচদিনব্যপী অগ্রিম টিকিট বিক্রির কর্মযজ্ঞ।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেলা ৩টা নাগাদ কাউন্টারগুলো পুরোপুরি ফাঁকা দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষদিন। এদিন ৯ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়। রাজধানীসহ ৭টি জায়গা থেকে আজ একযোগে ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। যার ৫০ শতাংশ কাউন্টারে এবং ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

তবে, আপাতত যাত্রীদের চাওয়া নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা। রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে এসেছিলেন জয়নাল আবেদীন। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। জানালেন, পঞ্চগড় যাবেন। কথায়-কথায় টিকিট পেতে হয়রানির গল্পও শোনালেন। ৩১ শে জুন রাত ১২টা থেকে পরদিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে টিকিট পেয়েছেন। ফলে, বেশ আনন্দিত তিনি।

শিল্পী নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানালেন, টিকিট না পাওয়ার গল্প। পরে, কালোবাজারি হতে দ্বিগুণ মূল্যে টিকিট নিয়েছেন তিনি। জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অনলাইনে টিকিট পেলাম না। লাইনে দাঁড়িয়েও পাইনি। বাড়ি তো যেতেই হবে। ঈদ বছরে দু’বার৷ তাই বাধ্য হয়েই ব্ল্যাকে টিকিট নিলাম। এখন ভালোয়-ভালোয় যেতে চাই।

এদিকে, সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজকে ছিল ঈদুল আজহার অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিন। ৯ তারিখের টিকিটের চাহিদা ছিল খুবই কম। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেনগুলো ছেড়ে যাবে৷

বিনা টিকিটে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, কেউ টিকিট ছাড়া বা ট্রেনের ছাদে, ঝুলে ভ্রমণের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাইকে ট্রেনে ওঠানামার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যও সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

সূত্র জানিয়েছে, এবারই প্রথম ঈদুল আজহা উপলক্ষে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ঈদে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ঈদ স্পেশাল ট্রেন’ নামক ট্রেনটি গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত চলাচল করবে। তবে রংপুর ও লালমনিরহাটের যাত্রীরা পার্বতীপুর থেকে কানেকটিং ট্রেনে ফিরতে পারবেন। গাজীপুরের জয়দেবপুর এবং কমলাপুরে এই বিশেষ ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ঈদের ফেরত টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই। ঈদ শেষে ফিরতি ট্রেনের ক্ষেত্রে ১১ জুলাইয়ের টিকেট পাওয়া যাবে ৭ জুলাই, ১২ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকেট ৮ জুলাই, ১৩ জুলাইয়ের টিকেট ৯ জুলাই এবং ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকেট ১১ জুলাই পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ৫ জুলাই ২০২২
এমকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।