ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে তীব্র জট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২২
গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে তীব্র জট

গাজীপুর: গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরা হাজার হাজার যাত্রী।

যানজটে আটকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় মহাসড়কে কাটছে যাত্রীদের।  

বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) রাত থেকে গাজীপুরে মহাসড়ক দুটিতে এ যানজট তীব্র হতে থাকে।  

পুলিশ, যাত্রী ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কলকারখানা ছুটি হওয়ায় ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়ে যায়। মানুষের ঢল নামে মহাসড়কের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডগুলোতে। রেল স্টেশনগুলোতেও মানুষের উপচে পড়া ভিড়। স্রোতের মতো মানুষজন ছুটতে শুরু করেছে গ্রামের দিকে। এদিকে মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ মানুষের ভোগান্তি ও যানজট নিরসনে মহাসড়কের কাজ করে যাচ্ছে। যাত্রীদের মতো দিন রাত পুলিশেরও সময় কাটছে মহাসড়কে। মহাসড়ক দুটির দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের ভিড়।  

গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড, গাজীপুরা, বোডবাজার, ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, পোড়াবাড়ী এলাকায় মানুষের ভিড় ও যানজট সৃষ্টি হয়েছে।  

এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী, মৌচাক, সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ ও চন্দ্রা এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের বাড়ইপাড়া ও জিরানি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। অনেক যাত্রী বাস না পেয়ে ট্রাক-পিকআপে ছুটতে শুরু করেছে গ্রামের দিকে।  

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। শুধু অতিরিক্ত নয় বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ তিন চার গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।  

রাফিউল ইসলাম নামের রাজশাহীর যাত্রী জানান, গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস বাসা থেকে বের হয়েছি ভোরে। সাড়ে ১০টার দিকে চন্দ্রা এসে পৌঁছেছি। এখান থেকে রাজশাহী যেতে বাস ভাড়া চাচ্ছে অনেক বেশি। পুরো মহাসড়কেই তীব্র যানজট কতক্ষণ লাগবে বাড়ি যেতে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।  
 
সোহেল মিয়া নামের এক যাত্রী জানান, চন্দ্রা থেকে বাসে উঠে বগুড়া যেতে হবে। বাসের হেলপারের সঙ্গে দাম দর করছি ভাড়া নিয়ে। অতিরিক্ত ভাড়া, তীব্র যানজট ও গরম। ভোগান্তি মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে।  

সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, গ্রামের দিকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ দিনরাত কাজ করছে যানজট নিরসনে। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয় নিয়ে কেউ অভিযোগ করছেন না। এরপরও আমরা বিষয়গুলো দেখছি।  

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মাস্টার বাড়ি মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় যানজট নেই। স্কয়ার মাস্টার বাড়ি জৈনাইবাজার এলাকায় হালকা যানজট আছে, তবে পুলিশ কাজ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
আরএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।