ঝালকাঠি : ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলার ২৮টি স্থানে বসেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট। স্থানীয় খামারি ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীদের গরু নিয়ে জমজমাট এসব হাট।
ক্রেতা না থাকায় হাটের ইজারাদাররা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। শেষ সময়ে বেচা-বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় হাট রয়েছে ১৬টি। নতুন করে অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আরও ৪টির।
নলছিটি উপজেলায় হাট রয়েছে ১৮টি। এর মধ্যে অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩টির। রাজাপুরে রয়েছে ১৬টি হাট, অনুমোদন দেওয়া হয়েছে নতুন পাঁচটির। কাঁঠালিয়া উপজেলায় বসেছে ১৪টি হাট, নতুন করে অনুমোদিত হয়েছে দুটির।
কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোয় যেভাবে হাটের বেচা-কেনা জমজমাট ছিল, এবার নেই। খামারি ও গেরস্তরা বিপাকে পড়ে গেছেন। সঠিক দামও পাওয়া যাচ্ছে না। রয়েছে ক্রেতা সংকট।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে অনেকেই কোরবানি দিতে পারছেন না। তাই বিগত বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা কম।
হাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেও একই তথ্য জানা গেছে।
কোরবানি পশুর হাট ও ঈদ উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ প্রশান্ত কুমার দে’র সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কোনো প্রতারক চক্র যাতে জাল টাকা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করতে না পারে এ জন্য মেশিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নির্ধারিত একটি স্থানে ব্যাংক কর্মকর্তারা রয়েছেন। যাতে কেউ টাকা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়লে দ্রুত পরীক্ষা করাতে পারেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৬ ঘণ্টা, ৯ জুলাই, ২০২২
এমজে