ঢাকা: ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে সড়ক-মহাসড়কগুলো স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে গণপরিবহন সংকটও।
সোমবার (৯ জুলাই) রাজধানীর, বাড্ডা, রামপুরা, কুড়িল, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকাঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তবে, এরই মধ্যে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদের ছুটিতে যাওয়া কর্মজীবী মানুষেরা। ফলে, বাসস্ট্যান্ডগুলোতে সামান্য ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় রিকশা চালান দুলাল মিয়া। তিনি বলেন, ঈদের চাঁদে একটু ভাড়া বেশি দিচ্ছে সবাই। এই কয়দিন চলাচল করেও আরাম। দিনে ১৫০০-২০০০ টাকা রোজগার হচ্ছে।
একই বক্তব্য রামপুরা এলাকার আরেক রিকশাচালক ফারুকের। ঈদে বাড়িতে যাননি তিনি। জানতে চাইলে কিছুটা রসিকতা করে বললেন, সবাই বাড়ি গেলে আপনাদের পৌঁছে দেবে কে? রাস্তায় তো বাস নেই তেমন। জানান, দিনে ১২০০-১৫০০ টাকা আয় হচ্ছে তার। আগে যেখানে ৭০০-১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হত।
তবে, গণপরিবহন সংকটের এই সুযোগে কিছু অসাধু রিকশাচালক ভাড়া বাড়িয়েছেন দ্বিগুণ বা তিনগুণ। রামপুরা কাঁচাবাজারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ষাটোর্ধ্ব মফিজুল ইসলাম। ডিআইটি রোডের বাসিন্দা মফিজুল বাংলানিউজকে বলেন, নিকেতন যাব। কিন্তু, রিকশাওয়ালারা স্বাভাবিকের চাইতে দ্বিগুণ ভাড়া চাচ্ছেন। জিজ্ঞেস করলে বলে ঈদের বোনাস। গত তিনদিন ধরে বোনাস দিতে-দিতে ক্লান্ত।
প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের বাসচালক মাজহারুল বলেন, আমাদের অনেক চালক ঈদের ছুটিতে গেছে। যাদের ছুটি নেই, তারাও অনেকেই যাত্রী কম হওয়ায় বাস নিয়ে বের হচ্ছেন না। তবে, কাল-পরশু থেকে সড়কে বাস চলাচল বাড়বে।
এদিকে, স্বল্প গণপরিবহনের পাশাপাশি বন্ধ আছে হাতিরঝিলে নৌ-পরিবহন ও বিশেষায়িত বাসগুলো। এমনকি উবার-পাঠাওয়ের মতো পরিবহন সেবাগুলোও বন্ধ আছে। তবে, অনেকক্ষণ পরপর ঢাকা চাকা, গুলশান চাকা নামের বাসগুলো দুই-একটি চললেও, নৌযানগুলো পুরোপুরি বন্ধ। ফলে, স্বভাবতই সড়কের পাশাপাশি মহল্লাতেও রিকশাচালকদের হয়েছে পোয়াবারো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতিরঝিলের রামপুরা, গুলশান, পুলিশ প্লাজা, এফডিসি জেটি ঘাটে চলছে না নৌযান। ফলে, যাত্রীরা হেঁটে পার হচ্ছেন বা সামর্থ্য অনুযায়ী রিকশা বা সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে চলাচল করছেন।
গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আগামী বুধবার (১৩ জুলাই) থেকে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসবে যান চলাচল। ফলে, সড়কে কমতে পারে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার দাপট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ১১ জুলাই, ২০২২
এমকে/এমএমজেড