ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের ছুটিতে লোকারণ্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
ঈদের ছুটিতে লোকারণ্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার: ‘সমুদ্রের সামনে বসে থাকলেই তো মন ভালো হয়ে যায়। কেন হবে না, বলুন।

এত বিশাল সমুদ্র সৈকত। সকাল থেকে এসে এক চেয়ারেই বসে আছি। মনে হচ্ছে আমার অনেক দিনের আয়ু বেড়ে গেছে। ’

ঈদের ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে এসে এমনই অনুভূতি জানালেন ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মিহির চক্রবর্তী। শুধু তিনি নন, সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে আসা প্রায় সব পর্যটকের অভিব্যক্তি এমনই।

রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা গেল অসংখ্য পর্যটকের ভীড়। তবে এবারের ছুটিতে সমুদ্র সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোর পর্যটক সমাগমের চিরচেনা সেই রূপ এবার নেই। তুলনামূলক অনেক কম পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতিও কিছুটা বেড়েছে।
 
সৈকতের অন্যান্য পয়েন্টগুলোতেও দেখা গেছে, ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছ্বাসে পর্যটকরা সময় কাটাচ্ছেন। কেউ গা ভেজাচ্ছেন সমুদ্রের নোনাজলে। কেউ বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। আর কেউ জেট-স্কি, বিচ বাইকসহ নানা রাইডে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ আপনমনে আল্পনা আঁকছেন বালিয়াড়ির বুকে।  
 
ঢাকা থেকে আসা আরেক পর্যটক আশরাফ হোসেন (৫৪) জানালেন, যদিও এবার ভিড় অনেক কম। তবে মনে করেছিলাম পর্যটক সমাগম আরও কম হবে। তবুও একটু ফাঁকা বলেই বেশি ভালো লাগছে। অন্যান্যবার হোটেল-মোটেলগুলোতে যে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রবণতা দেখেছি, এবার সেই উপদ্রবও কম মনে হচ্ছে।  

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বাংলানিউজকে জানান, শনিবার পর্য়ন্ত  হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজগুলোর প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষ খালি ছিল। তবে শনিবার কিছুটা এই চিত্র  পাল্টেছে। আমরা আশা করছি, আগামী কয়েকদিন কিছুটা সমাগম বাড়বে।

পদ্মা সেতু, বন্যাসহ নানা কারণে এবার কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম কমেছে বলে জানান তিনি।
 
বরাবরের মতোই সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে।
 
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) চৌধুরী মিজানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার একটু পর্যটক সমাগম কম এটা ঠিক। তবে যথারীতি কোনো পর্যটক যেন এখানে এসে হয়রানির শিকার না হয়, ভ্রমণের ভালো স্মৃতি নিয়ে যেন ফিরতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।

তিনি জানান, পর্যটকদরে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য। এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে সংযোজন করা সিসি ক্যামেরাগুলোও মনিটরিং করা হচ্ছে।
 
পর্যটম সমাগম কেন কম হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পর্যটকদের কম আসার প্রধান কারণ হচ্ছে পদ্মা সেতু। এটি হওয়াতে মানুষ ঢাকা থেকে মাত্র ৬ ঘণ্টায় কুয়াকাটা যেতে পারছে। আগে যেখানে ফেরি পারাপারসহ অনেক ভোগান্তি ছিল, এখন প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগের কারণে খুব সহজেই কুয়াকাটা যেতে পারছে। একসঙ্গে মানুষ পদ্মাসেতুও দেখছে আবার সেখান থেকে কুয়াকাটা সৈকতও দেখে আসছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
এসবি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।