নাটোর: আষাঢ় মাসের শেষ দিন আজ। অথচ তারপরেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির।
এমন পরিস্থিতির অবসান না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে রোপা আমনের চাষ। আবার অনাবৃষ্টির ফলে বোনা আমনেও ব্যহত হচ্ছে দৈহিক বৃদ্ধি। ফলে রোপা ও বোনা আমন চাষে বিরুপ প্রভাব পড়ছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৫ হাজার ৪৭৫ হেক্টোর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় চারাবীজ উৎপাদনের এখনই সময়। কিন্তু অনাবৃষ্টি আর খরতাপে বীজ বপন করা যাচ্ছে না। আবার যেসব স্থানে ইতোমধ্যে বীজ বপন করা হয়েছে তাও শুকিয়ে মারা যাচ্ছে।
এছাড়া এবার তিন হাজার ৮৪৯ হেক্টোর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। যার অধিকাংশ অনাবৃষ্টির ফলে দৈহিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকটা শুকিয়ে মারা যাবার উপক্রম হয়েছে। এতে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা।
উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক মখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এবার ১৩ বিঘা জমিতে বোনা ও রোপা আমনের চাষ করছেন তিনি। অনাবৃষ্টির কারণে বোনা আমন মরতে বসেছে। আর রোপা আমনের বীজ বপনই করতে পারছেন না।
কামারদহ গ্রামের এসকেন্দার আলী জানান, ছয় বিঘা জমিতে রোপা আমন করবেন বলে বীজ বপন করেছিলেন। কিন্তু খরায় মাটি শুকিয়ে চারাবীজ মারা যাচ্ছে। চান্দাই গ্রামের আলম ফকিরও জানান একই কথা।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, বর্ষার এ মৌসুমে রোপা ও বোনা আমনের চাষ হয়। সেচ খরচ কম লাগায় রোপা আমন চাষ বরাবরই লাভজনক হয়। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষাবাদ নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে এমন অনাবৃষ্টি কল্পনাও করা যায় না। এ সময় বৃষ্টি না হলে রোপা ও বোনা আমন উৎপাদন ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২২
এফআর