ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

হায় হায় পার্টি হায় হায় করতে থাকুক: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
হায় হায় পার্টি হায় হায় করতে থাকুক: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হায় হায় পার্টি হায় হায় করতেই থাকুক। দেশ এগিয়ে যাবে।

জনগণ আমাদের পাশে আছে।

রোববার (২৪ জুলাই) ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২’ উদযাপন ও ‘জাতীয় মৎস্য পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ গিয়ে এ কথা বলেন সরকার প্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা নাই নাই, গেল গেল, হায় হায় করে বেড়াচ্ছে, এই হায় হায় পার্টি হায় হায় করতেই থাকুক। মাঝে মাঝে একটু তাদের তো বলতে দিতে হবে। আর আমরা আমাদের কাজ করে যাই, দেশ এগিয়ে যাক। দেশ এগিয়ে যাবে, জনগণের ওপর আমাদের ভরসা আছে। তারা আমাদের পাশে আছে। জাতির পিতাই তো বলে গেছেন বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, তো কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।

মৎস্য উৎপাদনে সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি মাছ আমরা এখন উৎপাদন করতে পারি। একজন মানুষ ৬২ গ্রাম মাছ গ্রহণ করলেই সে আমিষ পেল। আমরা এর চেয়েও বেশি মাছ খাওয়ার সুযোগ পাই এখন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়।

মাছের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণা বৃদ্ধিসহ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথাও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, মিষ্টি পানির মাছ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। দেশিয় বা বিলুপ্ত প্রজাতির অনেক মাছ এখন গবেষণার মাধ্যমে ফিরে আসছে। যেটা আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছে, আবার ব্যাপক হারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে।

মাছের যখন মৌসুম আসে; যেমন, ইলিশ মাছের ডিম পাড়ার সময়, জাটকা যাতে না ধরে। আমরা মৎস্য চাষিদের নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে থাকি এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছি। খাঁচার মধ্যে মাছ চাষের ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি।

মাছের উৎপাদন আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মাছে ভাতে বাঙালি এই মাছে ভাতে বাঙালি হিসেবেই যেন আমরা থাকতে পারি। আমরা যদি পুষ্টির কথা বলি তবে সবচাইতে নিরাপদ পুষ্টি পাওয়া যায় মাছে। মাছ খেলে মানুষ শারীরিকভাবে খুব ভালো থাকতে পারে যেটা মাংস থেকে হয় না।

যার যেখানে জলাধার আছে সেখানে মাছ ছাড়াও কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক চাষের ইঙ্গিত দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এগুলো করতে পারলে আমাদের নিজেদের কোনো অভাব থাকবে না। বরং রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা নতুন নতুন পণ্য দিতে পারব।

সমুদ্র এলাকায় জাল দিয়ে চিংড়ির পোনা আহরণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এভাবে চিংড়ির পোনা আহরণ বন্ধ করতে হবে। এতে অন্য মাছের পোনা নষ্ট হয়। এ সময় হ্যাচারি করে দেওয়ার কথা বলেন সরকার প্রধান।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্ত থেকে অংশ নিয়ে মৎস্য চাষ ও মৎস্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক ২০২২ প্রদান করেন তিনি। তার পক্ষে পদক তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
এমইউএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।