ঢাকা : কুমিল্লার হোমনা উপজেলার গাগুটিয়া ইউনিয়নের দড়িচর গ্রামের একটি ধানখেত থেকে পাওয়া সেই নবজাতককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া।
আহত শিশুটিকে ঢামেকে নিয়ে আসেন মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনি দড়িচর গ্রামের বাসিন্দা। বাংলানিউজকে তিনি জানান, গত শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে তার চাচাতো ভাই আমিরুল ইসলাম নিজ বাড়ি পাশের ধানক্ষেত থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ পান। পরে তার বাড়ির কয়েকজন নারী সদস্যকে নিয়ে ক্ষেতে যান তিনি। দেখেন মেয়ে শিশুটি চিৎকার করে কাঁদছে। পরে তারা শিশুটিকে তুলে নিয়ে আসেন।
মানিক বলেন, মেয়েটির পুরো নাক ইঁদুর বা কোনো পোকামাকড় খেয়ে ফেলেছে। তার মাথার পেছনেও ক্ষত আছে। এ অবস্থায় তাকে আমরা হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন ছিল মেয়েটি। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢামেকে নিয়ে আসতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
শিশুটি উদ্ধারের পর পুলিশ, উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা মানিকের সঙ্গে হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কেউ এখন পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসায় কোনো সহায়তা করেননি। হোমনা হাসপাতাল ও ঢামেকে যে ব্যয় হচ্ছে, পুরোটাই মানিক বহন করছেন। তিনি জানান, এলাকার লোকজন আমাকে সহায়তা করছে। তারা ১০ হাজার টাকা তুলে আমাকে দিয়েছে।
মানিক আরও জানান, ঢামেকের চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটি সুস্থ হলে তার কাছে দিয়ে দেওয়া হবে না। আদালতের মাধ্যমে তাকে নিতে হবে।
এদিকে, আহত শিশুটির অবস্থা ভালো নয় বলে জানিয়েছেন ঢামেকের নবজাতক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনীষা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, শিশুর নাক, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল।
ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, কুমিল্লার ধানখেতে পাওয়া শিশুটির ওজন ১৭০০ গ্রাম। তার অবস্থা ভালো নয়। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তার চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যা দরকার, হাসপাতাল থেকে করা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৫০০ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০২২
এজেডএস/এমজে