ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ডি-৮ সম্মেলনে মন্ত্রীরা ঢাকায় না এলেও আশাবাদী ড. মোমেন

তৌহিদুর রহমান, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
ডি-৮ সম্মেলনে মন্ত্রীরা ঢাকায় না এলেও আশাবাদী ড. মোমেন ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ঢাকায় ২০তম ডি-৮ পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার (২৭ জুলাই) সশরীরে যোগ দেননি। বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসতে চেয়েও শেষ মুহূর্তে তারা ঢাকায় আসেননি।

তবে তারা ভার্চ্যুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেন।  

তারা সশরীরে সম্মেলনে যোগ না দিলেও এই সংস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

উন্নয়নশীল ৮টি মুসলিম দেশের জোট ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন সামনে রেখে গত রোববার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সংবাদ সম্মেলন করেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ঢাকায় এসে সম্মেলনে যোগ দেবেন। তবে সম্মেলনে যোগ দিতে শেষ পর্যন্ত তারা ঢাকায় আসেননি।

বুধবারের এই সম্মেলনে সশরীরে ঢাকায় না আসলেও ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ান, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত চাভাসোগলু। আর অন্য দেশগুলোর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রীরা ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন। তবে সবগুলো দেশ থেকে ঢাকায় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দেন।

ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এই সম্মেলনে যোগ না দেওয়ায় সম্মেলনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সদস্য দেশগুলো এই সংস্থার প্রতি কি অনীহা প্রকাশ করছে? ডি-৮ এর ভবিষ্যৎই বা কি? সম্মেলনে শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তবে ড. মোমেন এই সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।  

তিনি বলেছেন, আমি এই সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব আশাবাদী। কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার ফলে আমরা সম্মেলনকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে দুই একটি দেশ ছাড়া সব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন। আর সম্মেলনে কেউ উপস্থিত থাকলেই যে সেটা অ্যাফেক্টিভ হবে, সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আমরা অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের কেউ একজন বা দুজন না যোগ দিলে যে সেটা বাস্তবায়ন হবে না, এমন কোনো কথা নেই।

১৯৯৭ সালে তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজমুদ্দিন এরবাকান ডি-৮ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। সে সময় ৮টি উন্নয়নশীল মুসলিম দেশ এতে যোগ দেয়। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া ও মালয়েশিয়া। এখন আজারবাইজান এই সংস্থার সদস্য হতে আবেদন করেছে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ডি-৮ এর সভাপতির দায়িত্ব নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
টিআর/এসএ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।