ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিদর্শনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২২
নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিদর্শনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার

ঢাকা: অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার এবং বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য। দৈনন্দিন পরিবেশগত সংকটের মধ্যে প্লাস্টিকের দূষণ অন্যতম।

 

অব্যবস্থাপিত প্লাস্টিক বর্জ্য শহুরে অঞ্চলে বেশ কিছু জটিল চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে নিত্য-ব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ।

প্রতিষ্ঠান দুটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (এনসিসি) সঙ্গে সহযোগিতায় দেশের নগরাঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে নারায়ণগঞ্জের মতো প্রধান শহরে চালু করেছে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মডেল (পিডব্লিউএম)।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে (এনসিসি) অবস্থিত ইউনিলিভারের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (পিডব্লিউএমপি) পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন, সংস্থাটির হেড অব প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পার্টনারশিপ সাপোর্ট ইউনিট (পিএমপিএসইউ) এর সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সরদার এম. আসাদুজ্জামান, ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং প্রতিষ্ঠান সমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

এ সময় তারা প্রকল্পের আওতাধীন প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহশালা পরিদর্শন ও প্লাস্টিক সংগ্রহ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন, প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া দেখেন।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে অংশীদারদের একসঙ্গে কাজ করতে দেখে আমি বেশ আনন্দিত। নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো সুযোগ তৈরি করতে আমাদের অবশ্যই সহযোগিতা অব্যাহত রাখা উচিত।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর সিইও এবং এমডি জাভেদ আখতার বলেন, পৃথিবীর স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ইউনিলিভার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্লাস্টিকের পুনঃচক্রায়নে আমাদের কম্পাস দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে, ২০২৫ সাল নাগাদ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো পণ্যের মাধ্যমে উৎপাদিত প্লাস্টিক বর্জ্যের চেয়ে বেশি পরিমাণ প্লাস্টিক সংগ্রহ করা। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের সবুজ নির্ভর প্রবৃদ্ধির কৌশল ও এসডিজির লক্ষ্যসমূহ পূরণে অন্যান্য কোম্পানি ও সরকারকে অনুপ্রাণিত করবে।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বজুড়ে আশঙ্কাজনক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাংলাদেশে স্থলভাগ কিংবা জলভাগে এই অবস্থা বেশ শোচনীয়।  

প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (পিডব্লিউএমপি) এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যাতে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়নের ভ্যালু চেইনে

সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হবেন। ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন অংশীদার, এছাড়া আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং গ্লোবাল (ইওয়াই) প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে। এই ধরনের উদ্যোগ শুধু মাথাপিছু পরিবেশগত প্রভাবই কমিয়ে আনবে না, একইসঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জীবনমান ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নে ও কাজ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২২
এমআইএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।