ঢাকা, সোমবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জুন ২০২৪, ১৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশালে ডিমের দোকানসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
বরিশালে ডিমের দোকানসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

বরিশাল: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে ডিমের দোকান, ফার্মেসি ও খাবার হোটেলসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

সেসঙ্গে খামারি পর্যায় থেকে অযৌক্তিকভাবে ডিমের মূল্য না বাড়ানোর জন্য খামারিদের ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাজার দর স্বাভাবিক রাখতে তাদের সচেতনও করা হয়েছে।

শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারীর নেতৃত্বে অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া ও পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায়।  

অভিযানে বরিশাল নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন গড়িয়ার পার এলাকায় অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও বিক্রি করায় আরিফ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে আট হাজার টাকা, প্রাণিসম্পদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় সাইবা ফার্মেসিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  

অপরদিকে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় সদর বাজারে অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা না থাকায় সিকদার অ্যান্ড সন্স নামে এক ডিমের দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা, মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের বোতলের ওপরের অংশে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ও মূল্য তালিকা মুছে ফেলে বিক্রি করার অপরাধে হাজি ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কামার কাঠি বাজারে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও চিকিৎসকের ওষুধের স্যাম্পল বিক্রি করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া বাংলানিউজকে জানান, মূলত আজকের অভিযানটি বিশেষ অভিযান। এ অভিযানে আমরা খামারি পর্যায়ে ডিমের দাম তদারকি করেছি। আর নেছারবাদ থেকে বরিশাল শহরসহ আশপাশের এলাকায় ডিম সরবরাহ হওয়ায় আমরা সেখানকার ১০টির মতো ডিম উৎপাদনের খামার পরিদর্শন করেছি।  

তিনি বলেন, খামারি থেকে ৮ টাকা ৮০ পয়সায় পাইকারদের কাছে প্রতি পিস ডিম সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি বরিশাল শহরের শুক্কুর ট্রেডার্সসহ বিভিন্ন পাইকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত এ দামে ডিম পৌঁছানো হচ্ছে। সেই হিসাবে খামারিরা সঠিক থাকায় তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে।  

এদিকে অভিযানের ভয়ে বরিশালের কোথাও ৪০ থেকে ৪১ টাকায় প্রতি হালি ডিম বিক্রি করা হলেও, অভিযানিক দল চলে যাওয়ার পর ৪৬ টাকা হালিতেও ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।