ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনায় হেযবুত তওহীদ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ১০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২২
পাবনায় হেযবুত তওহীদ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ১০

পাবনা: পাবনা সদর উপজেলায় সুজন হোসেন (৩০) নামে এক হেযবুত তওহীদ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

 

আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় পাঁচ-ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ আগস্ট) ভোরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে উপজেলার চর ঘোষপুর নফসারের মোড়ের হেযবুত তওহীদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুজন সদর উপজেলা হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুর গ্রামের মধ্যপড়া এলাকার মৃত আনিছুর রহমান মণ্ডলের ছেলে। তিনি হেযবুত তওহীদ পাবনা জেলা শাখার সদস্য এবং পেশায় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি ছিলেন। ঘরে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, নফসারের মোড়ে কার্যালয় করে আনিছুররা হেযবুত তওহীদের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। তাদের মতাদর্শ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকাবাসীর সঙ্গে  বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওই কার্যালয়ের সঙ্গে একটি সেলুনের দোকানে হেযবুত তওহীদের এক সদস্যের চুল-দাঁড়ি টাকা নিয়ে তর্ক হয়। আধা ঘণ্টা পর স্থানীয় প্রায় শতাধিক লোক লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের কার্যালয়ে হামলা করেন। হেযবুত তওহীদের সদস্যের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় এসময়। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সুজনের অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহত সুজনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শাহানা খাতুন ও ভাই মোমেনুল ইসলাম বলেন, হেযবুত তওহীদের মতাদর্শ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে সুজনের দ্বন্দ্ব ছিল। আমরা তাকে অনেক বুঝিয়েছি, কিন্তু সে শোনেনি। গতকাল রাতে চুল-দাঁড়ি কাটা নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তর্ক হয়। পরে আমাদের এলাকার শেখ গোষ্ঠীর লোকজন লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের কার্যালয়ে হামলা করে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।

এ বিষয়ে হেযবুত তওহীদের পাবনা জেলা শাখার আমির সেলিম শেখ বলেন, ঘোষপুর ইউনিট কার্যালয়ে দলের সদস্যদের নিয়ে আমি দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাচ্ছিলাম। এসময হঠাৎ করে প্রচুর মানুষ আমাদের কার্যালয়ের সামনে এসে চিৎকার করে বলে- ‘ওদের ধর আর মার’। এসময় আমরা কার্যালয়ের ভেতর থেকে সামনে দাঁড়ালেই কোপাতে শুরু করে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, ওইখানে হেযবুত তাওহীদের কার্যালয় আছে। সেখানে তাদের সঙ্গে এলাকাবাসীর বিরোধ ছিল। গতকাল সম্ভবত চুল-দাঁড়ি কাটা নিয়ে হিযবুত তাওহীদের একজন সদস্য একজন স্থানীয় এক লোককে থাপ্পর মারেন। পরে স্থানীয় কিছু লোক দলবদ্ধ হয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনার মূলহোতা আলালসহ পাঁচ-ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।