ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বেচ্ছাশ্রমে মেঘনা ধনাগোদা সেচ ক্যানেল পরিষ্কার করলেন কৃষকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
স্বেচ্ছাশ্রমে মেঘনা ধনাগোদা সেচ ক্যানেল পরিষ্কার করলেন কৃষকরা

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা ধনাগোদা দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সেচ প্রকল্প। ৬৪ কিলোমিটার আয়তনের এই সেচ প্রকল্পে আবাদি জমির পরিমাণ ১৭শ হেক্টর।

এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে আউশ আবাদ করতে পারেননি কৃষকরা। তাই এখন আমন আবাদের জন্য পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যার কারণে স্বেচ্ছাশ্রমেই জমিতে পানি সরবরাহের জন্য ক্যানেলগুলো পরিষ্কার করতে শুরু করেছেন।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় কৃষি সমিতির শ্রমিকরা ক্যানেলে থাকা আগাছা পরিষ্কার করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সেচ কমিটি বুধবার (২৪ আগস্ট) কৃষকদের আমন মৌসুমে পানি দেওয়ার লক্ষ্যে এক সভার আয়োজন করেন। সভায় কৃষকদের যৌক্তিক দাবি ও বাস্তবিক প্রয়োজনীয়তার কথা উপলব্ধি করে পানি দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। "কৃষি উদ্যোক্তা পরিষদ মতলব উত্তর উপজেলা চাঁদপুর" সভার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করেন।

এরপর শুক্রবার সকালে স্বপ্নবিলাস পানি ব্যবস্থাপনা দল ও মতলব উত্তর উপজেলা সিআইজির সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন সরকার ও কৃষি উদ্যোক্তা পরিষদ মতলব উত্তর উপজেলা চাঁদপুর এর আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান সরকারের উদ্যোগে এলাকার কৃষকদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সেচ ক্যানেল ও নালা পরিষ্কার করেন।

স্বেচ্ছাশ্রমে অংশগ্রহণ করেন- ওটারচর এর কৃষক ও স্বেচ্ছাসেবী মো. কাইয়ুম সরকার, আরিফ সরকার, ইব্রাহিম দেওয়ান, মিলন ভূঁইয়া, খাককান্দা গ্রামের মালেক প্রধান, আবদুর রউফ প্রধান, দুলাল প্রধান, আবদুল হক, হান্নান মিয়া ও বৈদ্যনাথপুর গ্রামের কৃষকরা।

তাদের সবার একটাই দাবি আমরা স্বোচ্ছাশ্রমে কাজ করতে রাজি তবুও আমার এলাকার কৃষক ভাইরা পানি সংকট থেকে উত্তরণ হয়ে দেশের খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখুক এটাই আমাদের স্বার্থকতা।

কৃষি উদ্যোক্তা আতাউর রহমান সরকার জানান, বাংলাদেশের জলবায়ু আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কখনো তীব্র  হয়ে ফসল তলিয়ে যায় আবার কখনো অনাবৃষ্টিজনিত কারণে জমি ফেটে চৌচির হয়। গত বছর এমন সময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য আমরা জলবদ্ধতার স্বীকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছিলাম। এবার আবার প্রখর খরায় আউশ রোপণ অনেকেই করতে পারি নাই। যতটুকু করেছে তাও পানির অভাবে সুবিধা হয়নি। এখন আমন নিয়ে সংকটে। এসব কারণে আমরা কৃষকরা সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে শস্য উৎপাদন করতে পারছি না।

তিনি আরও জানান, বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে খাদ্যদ্রব্যের দাম ঠিক রাখার জন্য যে সব অঞ্চলে এমন সেচ প্রকল্প আছে সেসব এলাকায় জরুরি সেচ সুবিধা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের সেচ কমিটির কার্যক্রমকেও আমরা সাধুবাদ জানাই। সেই সঙ্গে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প জরুরি কর্যক্রম সবসময় চালু রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।