ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রীলঙ্কার মতো সংকটে পড়বে না বাংলাদেশ: এএনআইকে শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
শ্রীলঙ্কার মতো সংকটে পড়বে না বাংলাদেশ: এএনআইকে শেখ হাসিনা

‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার পথে যেতে পারে’ এমন আশঙ্কা প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের সময়ও দেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেছে। ঋণ নেওয়ার আগে তার সরকার অনেক ভাবনা-চিন্তা করে নেয়।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাক্ষাৎকারটি রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থাটির ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনাকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বই বর্তমানে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আমাদের অর্থনীতি তাও যথেষ্ট শক্তিশালী। আমরা করোনা মহামারির সময়ে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলাম, এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এই সব কিছুরই প্রভাব পড়বে। কিন্তু ঋণের দিক থেকে দেখলে, বাংলাদেশ নির্দিষ্ট সময়েই ঋণ মিটিয়ে দেয়। আমাদের ঋণের হারও খুব কম। শ্রীলঙ্কার তুলনায় আমাদের অর্থনীতির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অত্যন্ত হিসাব করে করা হয়।

সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের জন্য একটি ‘বড় বোঝা’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারত একটি বিশাল দেশ; তারা রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হলেও সেখানে খুব বেশি শরণার্থী নেই। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। তাই আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করছি, যে তাদেরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে তারা দেশে ফিরে যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে চারদিনের ভারত সফর শুরু করতে যাচ্ছেন। সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনাকে নদীর পানি বণ্টনে বিশেষ করে তিস্তা নদীর ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে তার দেশের সহযোগিতার বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেগুলো এমন কিছু নয় যা পারস্পরিকভাবে সমাধান করা যায় না।

তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে, বিষয়গুলো ঝুলে আছে। আমাদের এখানে ভারত থেকে পানি আসে, তাই ভারতের আরও উদারতা দেখাতে হবে। কারণ এতে উভয় দেশই লাভবান হবে। কখনও কখনও পানির অভাবে আমাদের জনগণও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে তিস্তায় পানি না পেয়ে আমরা ফসল রোপণ করতে পারিনি এবং আরও অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই আমি মনে করি, এর সমাধান হওয়া উচিত।

টিকা দেওয়ার কারণে করোনাকালে বাংলাদেশ কতটা উপকৃত হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনারা জানেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশেই করোনা টিকা পাঠানো হয়েছিল, যা অত্যন্ত সাহায্য করেছিল। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অত্যন্ত বিচক্ষণ ও দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। পাশাপাশি আমরাও নিজেদের টাকায় ভ্যাকসিন কিনেছি, একাধিক দেশও ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করেছিল।

সূত্র: এনএনআই, এনডিটিভি

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
ইআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।