নেত্রকোনা: শারীরিক সম্পর্ক করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন প্রেমিকা। কিন্তু এরপর প্রেমিকাকে বিয়ে না করায় শুরু হয় টানাপোড়েন।
এ মামলায় রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নেত্রকোনার মদন উপজেলার বালালী বাঘমারা বাজার থেকে হামীমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামীম উপজেলার শিবপাশা গ্রামের শামীম চৌধুরীর ছেলে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামীম পশু চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাদে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। একপর্যায়ে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর বিয়ের জন্য চার দিলে মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হননি হামীম। একাধিকবার সালিশ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে হামীমের পরিবার। কোনো সমাধান না পেয়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আট মাস পর গত ১৭ মে মদন থানায় হামীম চৌধুরীকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন মেয়েটির মা। মামলা দায়েরের পর থেকেই হামীম পলাতক ছিলেন। এর মধ্যে গত জুন মাসে তরুণীর একটি কন্যা সন্তান জন্ম হলে ওই দিনই সন্তানটি মারা যায়।
এদিকে রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ বালালী বাঘমারা বাজারে অভিযান চালিয়ে হামীমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে হামীমের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুলিশ অভিযানে গেলে গাজীপুর থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। সোমবার গ্রেফতারকৃত হামীমকে আদালতের মাধ্যমে নেত্রকোনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, ধর্ষণ মামলার আসামি হামীম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের একটি সন্তান হয়ে মারা গেছে। আমরা শিশুটির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২
এসআই