ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে হারবাল পণ্যের ব্যবসা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৪
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে হারবাল পণ্যের ব্যবসা

ঢাকা: ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেনের পরিচয়ে খোলা হয় ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। আর সেই আইডি থেকে হেয়ার টনিকসহ রূপচর্চার বিভিন্ন হারবাল পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম ব্যবহারের কারণে মানুষ বিশ্বাস করে এসব পণ্যের অর্ডার করেন। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে হারবালসামগ্রী বিক্রির রমরমা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একজন ভিয়েতনামি নাগরিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ভিয়েতনামি নাগরিক ট্রান-আনহ-থো ওরফে মিস্টার টনি ও নুরুল আমিন ওরফে ইয়ামিন।

শুক্রবার (২৪ মে) দিনগত রাতে গুলশান এলাকায় ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) একটি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, চারটি ল্যাপটপ ও প্রতারণার কাজের ব্যবহৃত বিভিন্ন চাইনিজ ও ভিয়েতনামি পণ্য উদ্ধার করা হয়। ’

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি ভুয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। একপর্যায়ে আমরা দেখতে পাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহার করে হেয়ার টনিক এবং চুলের ট্রিটমেন্ট বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা হচ্ছে। এর সূত্র ধরে ডিবি গুলশানে অভিজাত এলাকায় একটি 'ইউনিক সিপিং এজেন্সি’ নামে কোম্পানির সন্ধান পাই। গ্রেপ্তারকৃতরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ দেশের বিভিন্ন সেলিব্রেটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভিয়েতনাম ও চীন থেকে আমদানি করা নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করে আসছেন।

প্রতারণার বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, মিস্টার টনি ও নুরুল আমিন প্রতারণা চক্রের মূল এজেন্ট। তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে বিজ্ঞাপন দেন। এই ভুয়া ফেসবুক পেজগুলো ভিয়েতনাম থেকে মি. ডং নামে একজন পরিচালনা করেন।

আর সেই চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে দেশের সাধারণ মানুষ পেজে অর্ডার করেন। এরপর ভিয়েতনামে থাকা এই চক্রের মার্কেটিং গ্রুপ থেকে ‘ইউনিক সিপিং এজেন্সি’ নামের কোম্পানিতে বাংলাদেশি কর্মরত ব্যক্তিদের কাছে তথ্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ‘ভুয়া’ নামে রেজিস্ট্রেশন করা নাম্বার থেকে গ্রাহককে ফোন করে অর্ডার কনর্ফম করে কুরিয়ারে পণ্য পৌঁছে দেয়।  

এসব নিম্নমানের পণ্য ভিয়েতনাম-চীন থেকে আনা হলেও পণ্যের বাংলাদেশে বিপণনের কোনো বৈধতা নেই। সাধারণ মানুষকে এসব বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কিনতে সতর্ক থাকতে বলেন ডিবিপ্রধান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৪
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।