ঢাকা, শনিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও নিরাপত্তার দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও নিরাপত্তার দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ

ঢাকা: ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন চর্চার সুযোগ নিশ্চিত করা, শ্রম আইন ও শ্রমিক নিপীড়নের ধারাগুলো সংশোধন, চাকরি ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং রেশন ও আপৎকালীন মহার্ঘ্য ভাতার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশে এ দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিক নেতা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, দেশের শ্রমিকরা কিছুই পায় না। দেশে ৮০০০ নতুন কোটিপতি হয়েছে। তারা শ্রমিক শোষণকারী। আর শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও নূন্যতম ২০ হাজার টাকা মজুরির জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। বৈশ্বিক ও সরকারি নীতি হিসেবে একজন শ্রমিকের বেতন ৯৩ হাজার টাকা হওয়া উচিত। আমরা মাত্র ২০ হাজার চেয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের পাটকল ধ্বংস হয়নি বরং রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল বন্ধ করে বেসরকারি পাটকল স্থাপন করা হয়েছে। আর রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল শ্রমিকরা রাস্তায় বসে গেছে। অবিলম্বে জাতীয় নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করে ২০ হাজার টাকা মজুরি করুন। যদিও এই টাকায় আজকের বাজারে জীবন চলে না।

স্কপ নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য কমাতে এবং ভারসাম্যপূর্ণ শিল্পসম্পর্ক তৈরী করতে শ্রমজীবীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে দরকষাকষির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থবিরোধি ধারাগুলো সংশোধন করে সংলাপের মাধ্যমে সব শিল্প বিরোধ মিমাংসার পরিবেশ তৈরী না করে বর্তমান দমনমূলক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করলে তা শিল্প সম্পর্কে বুমেরাং হয়ে দেখা দেবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের নামে মালিকদের উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে শ্রমজীবী মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করা যাবে না। শ্রমিকরা অপুষ্টি আর অর্ধাহারকে সঙ্গী করে উন্নয়নের গল্প শুনবে না। তাই অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ সব শ্রমিক-কর্মচারীর মজুরি নিত্যপণ্যের বাজারদরের সঙ্গে সংহতিপূর্ণভাবে পুনঃনির্ধারণ ও শ্রমজীবীদের জন্য সার্বজনীন রেশনের ব্যবস্থা এবং অন্তর্বর্তী সময়ে মহার্ঘ্যভাতা চালু করতে হবে।

নেতারা হাসেম ফুড, বি.এম কনটেইনার ডিপোসহ কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকদের পরিবার প্রতি আজীবন আগের মানদণ্ডে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার  এবং ক্ষতিপূরণ আইন সংশোধনের আহ্বান জানান। ইপিজেড অঞ্চলসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের চাকরি অবসানে প্রাপ্য নায্য পাওনা আদায় করে দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের ব্যর্থতার জন্য নিন্দা এবং বেকা, কুনতং এ-ওয়ানসহ সব কারখানার শ্রমিকদের প্রাপ্য পাওনা অবিলম্বে পরিশোধের দাবি জানান।  

সমাবেশ থেকে শ্রমজীবীদের জন্য সার্বজনীন রেশন চালুর দাবিতে ৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখে খাদ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি দেওয়া এবং সারাদেশ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পাঠানোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলমের সভাপতিত্বে এবং অপর যুগ্ম সমন্বয়ক আহসান হাবিব বুলবুলের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্কপ নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, রাজেকুজ্জামান রতন, সাইফুজ্জামান বাদশা, শামীম আরা, বাদল খান, সার্কীল আভার চৌধুরী, আমিরুল হক আমিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
এমকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।