ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত রাঙামাটি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
দুর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত রাঙামাটি

রাঙামাটি: দেশের বৃহৎ জেলা রাঙামাটিতে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে পূজামণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।

শিল্পীরা তাদের নরম তুলির ছোঁয়ায় দেবী-দূর্গাকে সাজিয়ে তুলছে আপন মহিমায়। মন্দির প্রাঙ্গণে সাজ-সজ্জার কাজ চলছে।  

আগামী শনিবার (১ অক্টোবর) থেকে দুর্গাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। তাই জেলার চারদিক উৎসব আমেজের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

এইবার জেলার ১০টি উপজেলায় ৪২টি মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুর্গোৎসবের সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মন্দির প্রাঙ্গণের সাজ-সজ্জার কাজ হরদম চলছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেই লক্ষ্যে প্রশাসন আগে প্রস্তুতি শেষ করে নিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যানবাহন চলাচলে বিশৃঙ্খলা দূরীকরণ এবং যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বড় পূজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা বজায় রাখতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

রাঙামাটি অখণ্ডমণ্ডলি উপসনা মন্দিরের সহ-সভাপতি প্রণব কুমার ত্রিপুরা বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর করোনার কারণে আমরা দুর্গোৎসব পালন করতে পারিনি। এইবার আনন্দে পালন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এরপর রং করা শুরু করবো। মন্দির প্রাঙ্গণের সাজ-সজ্জার কাজ শেষ করছি।

রাঙামাটি অখন্ডমন্ডলী উপসনা মন্দিরের সাজ-সজ্জা কর্মী শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা বলেন, আমি একজন ছাত্র। প্রতি বছর দুর্গোৎসবে আমি স্বেচ্ছায় মায়ের খুশির জন্য বিনাশ্রমে কাজ করি। এ কাজ করতে ভালো লাগে। আশা রাখছি আনন্দ, উৎসবে আমরা দুর্গোৎসব পালন করবো।

শ্রী শ্রী নারায়ণ মন্দিরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারাধন দাশ বাংলানিউজকে বলেন, দুর্গোৎসবের জন্য প্রতিমা তৈরি এবং মন্দিরের সাজ-সজ্জার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এইবার করোনা পরবর্তী আমরা এ উৎসবে অত্যন্ত আড়ম্বর আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালন করবো।

বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অমলেন্দু হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, অত্যন্ত আড়ম্বর আয়োজনের মধ্যে রাঙামাটিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আশাকরি করোনা পরবর্তী এইবারের উৎসব আনন্দের মধ্যে উপভোগ করা যাবে।

রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বাংলানিউজিকে বলেন, রাঙামাটি বহু বৈচিত্র্যময় এলাকা। এখানে বহু সম্প্রদায়ের বসবাস। তাই যে কোন উৎসব এ অঞ্চলে অত্যন্ত আনন্দে পালন করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, দুর্গোৎসব শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে পালিত করার লক্ষ্যে প্রশাসন সব প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। বড় মন্দিরগুলোতে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছেন বলে এসপি যোগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।