ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে: জয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে: জয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয়

সাভার (ঢাকা): কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলা ও নানা সংকট মোকাবিলার উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপার্সন সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমার বিশ্বাস ছিল বাংলার মানুষ নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সাভারে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে আয়োজিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের ষষ্ঠ আসরের পুরস্কার বিতরণী শেষে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমার এই বিশ্বাস ছিল যে, বাংলাদেশের মানুষ, আমরা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারি। সারা বিশ্বেই এখন সংকট চলছে, যুদ্ধ চলছে। আমরা ২ বছর আগেই কোভিড মোকাবিলা করলাম। কোভিড যেতে না যেতেই যুদ্ধ, সন্ত্রাস এসবের জন্য অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে। এসবের খবর শুনে অনেকেই ভয়ে ভয়ে থাকে যে, এ সমস্যা আমাদের দেশ কীভাবে মোকাবিলা করবে! আপনারাই (তরুণরা) সেই সমস্যা সমাধানের উদাহরণ।

তিনি আরও বলেন, আজকে যারা পুরস্কৃত হয়েছে, শুধু তারাই না যারা আমাদের ফাইনালিস্ট এবং এই যে ৬০০টি সংগঠন যারা যোগদান করেছে, আপনারা সকলেই আজকে বিজয়ী। আপনাদের সকলের প্রতি বিশেষ করে যারা ফাইনালিস্ট ও পুরস্কৃত আপনাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আপনারা দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য যেভাবে সেবা করছেন, এটা আমাদের সকল নাগরিক ও বিশ্বের প্রতি উদাহরণ। আপনাদের মতো তরুণ-তরুণীরা নিজের চিন্তাধারায় এবং প্রচেষ্টায় কারো কাছে হাত না পেতে নিজের মতো করে অল্প বা বেশি যেই পরিসরেই হোক কাজ শুরু করেছেন, এটাই আমাদের চেতনা।

সমস্যার কোনোদিন শেষ থাকে না মন্তব্য করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, এই যে ১৪/১৫ বছর যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, আমরা কী কী সমস্যা দেখেছি। প্রথমেই ছিল বিদ্যুতের সমস্যা। তখন সবাই চিন্তা করতো ৮ ঘণ্টার লোডশেডিং এর সমস্যা আমরা কীভাবে সমাধান করবো। তারপর অর্থনীতির, এত মানুষকে কীভাবে খাওয়ানো হবে। অর্থনীতি কীভাবে এগোনো যায়। সেগুলো আমরা করে দেখিয়েছি। তারপর আসলো কোভিড। কোভিড নিয়ে সবাই ভয়ে ছিল, সবার আতঙ্কে ছিল। সারাবিশ্ব আতঙ্কে ছিল। বাংলাদেশ নিজেদের মতো করে নিজেদের প্রচেষ্টায় বিশ্বের অনেক ধনী দেশের চেয়েও ভালোভাবে কোভিড মোকাবিলা করেছে।

ইয়াং বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সময় গর্ব বোধ করেন জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, এতগুলো সংগঠন (দেশ গঠনে) এগিয়ে আসে, আবেদন করে। গত ৭ বছর ধরেই আমরা দেখছি। প্রথমে যখন শুরু করি তখন দুইশোর মতো সংগঠন ছিল। প্রত্যেক বছর এর সংখ্যা বাড়ছে। এখন সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ সদস্য রয়েছে ইয়াং বাংলার।

উপস্থিত বিজয়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে এত আনন্দ লাগছে এটা দেখে যে, আমাদের দেশে আপনারা রোবটিক হাত বানাচ্ছেন। এটা অসাধারণ। আমাদের দেশ থেকে জাতিসংঘে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন আপনারা ক্লাইমেট চেঞ্জের দাবি করার জন্য। আপনারা সবাই অসাধারণ কাজ করছেন। আপনারা অসাধারণ। বাংলার মানুষ, আমাদের দেশ একটি অসাধারণ দেশ। অল্প জায়গার মধ্যে আমরা ১৬ কোটি মানুষ। আমরা নিজেরা লড়াই করে, রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছি এই দেশ। ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে সক্ষম হয়েছি। ১০-১৫ বছরের মধ্যে আমরা এই দেশকে একটি দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছি। তরুণ-তরুণীরা, ইয়াং বাংলার অ্যাওয়ার্ডিরা আপনারাই ভবিষ্যৎ। আপনারা তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশকে আপনারা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আমার আশা ও বিশ্বাস আছে আপনারাই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রতিষ্ঠিত করবেন।

সারা দেশ থেকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের ৬০০টিরও বেশি সংগঠন থেকে যাচাই বাছাই শেষে শীর্ষ ১০ তরুণ সংগঠনের হাতে ওঠে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এ বছর ৫টি ক্যাটাগরির প্রতিটিতে দুটি করে ১০টি সংগঠনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও দেশের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় দুজন পেয়েছেন ‘লাইফ টাইম’ বা আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরআই ট্রাস্টি নসরুল হামিদ বিপু।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
এসএফ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।