ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাকশীতে তৃতীয় রেলদিবস পালন

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
পাকশীতে তৃতীয় রেলদিবস পালন

পাবনা (ঈশ্বরদী): পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের উদ্যোগে কেক কাটা ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃতীয় রেলদিবস পালিত হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় পাকশী বিভাগীয় সদর দফতরে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) চত্বরে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

১৫ নভেম্বর থেকে আগামী ২২ নভেম্বর সপ্তাহব্যাপী রেলওয়ের সেবা সপ্তাহ চলবে। পাকশী বিভাগীয় দফতরের আওতায় খুলনা, সান্তাহার, রাজবাড়ি পার্বতীপুর, ঈশ্বরদী জংশন রাজশাহী একযোগে রেলওয়ে সেবাসপ্তাহ শুরু হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডলের সভাপতিত্বে পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ, পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, বিভাগীয় সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী আশীষ কুমার মণ্ডল, বিভাগীয় সংকেত-টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী এম রাজিববিল্লাহ, শ্রমিক লীগের পাকশী শাখার সভাপতি ইকবাল হায়দার প্রমুখ।  

এসময় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রতিটি দফতরের রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারী, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে ঈশ্বরদী রেলদিবস উপলক্ষে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে বেলুন উড়িয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি স্টেশন পরিদর্শন করেন। এছাড়াও খুলনা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও সচেতনতা লিফলেট বিতরণ করা হয়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, আজ দিবসটি সামনে রেখে শক্তি নেব, অনুপ্রেরণা নেব, রেলকে কীভাবে সুন্দর করে এগিয়ে নিয়ে পরিচালিত করা যায়। আমাদের কাছে ভ্রমণপ্রিয় ট্রেন যাত্রীদের যতটুকু প্রত্যাশা, সে প্রত্যাশা পুরণে আমরা সক্ষম হবো।  

পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতাই আসার পর রেলপথ মন্ত্রণালয় আলাদা করা হয়েছে। ১৯১১ সালে ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে রেলসেবা পালিত হয়, ২০২০ সালে তৎকালীন রেলওয়ে ডিজির সময় প্রথম দেশে রেলদিবস পালিত হয়ে আসছে। এবারে ১৬০ বছর পা রাখলেও তৃতীয় রেলদিবস পালিত হচ্ছে।  

পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, এখন রেলওয়ের যে উন্নয়ন, কোনোভাবে তা আর আটকে রাখা সম্ভব না।  

জানা যায়, ১৮২৫ সালে ইংল্যান্ডে রেলওয়ে যাত্রা শুরু হয়। স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর ১৮৩২ সালে উপমহাদেশে সর্বপ্রথম রেলপথ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়। পরে ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল মুম্বাইয়ের বোরি বান্ডার স্টেশন থেকে থানে স্টেশন পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেলপথে ৪০০ জন যাত্রীসহ ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাত্রার সূত্রপাত ঘটে।

১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্ট হাওড়া থেকে হুগলি ৩৮ কিলোমিটার রেলপথ চালুর মাধ্যমে পশ্চিম বাংলার রেলের শুভ সূচনা হয়।

তৎকালীন পূর্ববাংলা অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে রেলপথ চালু হতে আরও কিছুদিন দেরি হয়। ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে অ্যাক্ট ১৮৫৭ সালের মাধ্যমে উপমহাদেশে ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি গঠিত হয়। ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত রেলপথ চালু করে। ঠিক একই বছর ১৫ নভেম্বর দর্শনা থেকে জগতি পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১১ কিলোমিটার লাইন বর্ধিত করার মাধ্যমে পূর্ববাংলা অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ রেলপথের যাত্রা শুরু হয়।

মূলত বর্তমান বাংলাদেশের প্রথম রেলপথ দর্শনা থেকে জগতি হলেও দর্শনা স্টেশনটি চালুর সময় ছিল না। জগতি স্টেশনটিই ছিল। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর চালু করা হয় প্রথম স্টেশন। ২০২০ সালে প্রথম রেলদিবস পালিত হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।