মেহেরপুর : মেহেরপুরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী তাবলিগ জামাতের আঞ্চলিক ইজতেমা।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে জেলার সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমায় পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও যশোর থেকে মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন।
এবার ভারতের দিল্লীর মার্কাজ মসজিদ থেকে ওসামা লস্করের নেতৃত্বে ১০ জন ও মালেশিয়া থেকে মোহাম্মদ আনাস বিন হামিদুনের নেতৃত্বে ৭ জন মেহমান এ আঞ্চলিক ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ইজতেমায় জোহরের নামাজের পর আম বয়ান শুরু হয়। বিশাল খোলা মাঠে সামিয়ানার নিচে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অবস্থান নিয়ে আলেমগণের বয়ান শুনছেন।
লক্ষ্মীপুর থেকে আসা আক্তারুজ্জামান বলেন, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্যই আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। এ ইজতেমায় আমরা ১৪ জন এসেছি।
ঢাকা মিরপুর এলাকা থেকে এসেছেন ৮ জন। মিরপুরের বাসিন্দা শাহিনুজ্জামান বলেন, আমরা ঢাকার আল মার্কাজ মসজিদ থেকে ৪০ দিনের চিল্লায় এসেছি। এখানে থাকবো তিন দিন।
ইজতেমা প্রাঙ্গণে পানির পাম্প ও ট্যাংক স্থাপন করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশেই বানানো হয়েছে শৌচাগার, গোসলখানা। এছাড়া রাতে আলোর জন্য বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা রয়েছে।
এবারের এ আঞ্চলিক ইজতেমায় মুসল্লির সংখ্যা ১০ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা। ইজতেমা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শরিফুল ইসলাম জানান, ইজতেমায় মেহেরপুরসহ আশেপাশের ৩/৪ টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। এবার ৫/১০ হাজার মুসল্লি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন আয়োজক কমিটি। আগামী শনিবার দুপুরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হবে।
এদিকে ইজতেমাকে ঘিরে একটি উপ-নিয়ন্ত্রণ রুম স্থাপন করেছে জেলার পুলিশ প্রশাসন। পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছেন। এছাড়া র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ সাদা পোশাকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এসআইএ