ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

চনপাড়া বস্তির মাদক কারবার ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতেন বজলু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
চনপাড়া বস্তির মাদক কারবার ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতেন বজলু বজলুর রহমান ওরফে বজলু

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া বস্তির মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করতেন বজলুর রহমান ওরফে বজলু (৫২)। বস্তির প্রায় ২০০টি স্পটের মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা তুলত তার সিন্ডিকেট।

তিনি এই এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে দাবি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)।

এ পর্যন্ত মাদকসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বজলুর বিরুদ্ধে ২৩টি মামলার রেকর্ড পেয়েছে র‍্যাব। শুক্রবার র‍্যাবের অভিযানে মাদক, জাল টাকা ও অস্ত্রসহ বজলুর রহমান ওরফে বজলু (৫২) গ্রেফতার হন।  

শনিবার (১৯ নভেম্বর) র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বাংলানিউজকে বলেন, বজলু একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী।  এ ছাড়াও তিনি চনপাড়া এলাকার পুরো মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণ করতেন। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও বেশ কয়েকটি জেলায় তার সহযোগী আছেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণ করেন।

তিনি বলেন, ১৮ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র (চনপাড়া বস্তি) এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বজলুর রহমান ওরফে বজলুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন, একটি মোবাইল, ভারতীয় ২৫ হাজার জাল রুপি, বাংলাদেশি ৭৫ হাজার জাল টাকা এবং মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।  

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বজলু জানান, তিনি কায়েতপাড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। তিনি স্থানীয় উঠতি বয়সের ছেলেদের কাছে ‘বজলু ভাই’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন সোর্স তার ছত্রছায়ায় এলাকার ছেলেদের টাকা দিয়ে হত্যা, মাদক কেনাবেচা, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি, কিশোর গ্যাং, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং পতিতালয় পরিচালনা করত। কেউ চাঁদা না দিলে তাকে ব্যাপক মারধর করত। গত এক-দেড় বছরে ছয়জন খুন হয়েছেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর অপরাধী গ্রেফতারে র‌্যাব চনপাড়া এলাকায় অভিযান চালালে বজলুর রহমান ওরফে বজলুর নির্দেশে অপরাধীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে অপরাধী ছিনিয়ে নেওয়ারও অপচেষ্টা চালায়। বজলুর রহমান এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক।

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে বজলুর নাম। এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানিয়েছিলেন, তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এসজেএ/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।