ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিনা মূল্যে ধানের বীজ ও সার পাচ্ছেন ৬৯০০ কৃষক 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
বিনা মূল্যে ধানের বীজ ও সার পাচ্ছেন ৬৯০০ কৃষক 

নাটোর : নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় ৬ হাজার ৯০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে উফশী ও হাইব্রিড জাতের ধান বীজ ও রাসায়নিক সার।  

চলতি মৌসুমে উন্নত জাত ও নতুন উদ্ভাবিত ফসল আবাদে উৎসাহিত করতে কৃষকদের এ প্রণোদনা দিচ্ছে 

এতে এবার বোরো মৌসুমে সরকারের প্রণোদনা সহায়তায় ২২০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি রবি-২০২২-২৩ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬ হাজার ৯০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উফশী ও হাইব্রিড জাতের ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হবে।  

এরমধ্যে ২ হাজার ৪০০ জন কৃষককে উফশী জাতের বোরো বীজ ও ৪ হাজার ৫০০ জন কৃষককে হাইব্রিড জাতের ধান বীজ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ও পৌরসভা ভিত্তিক কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

এরমধ্যে ব্রক্ষ্মপুর ইউনিয়নে উফশী জাত ২৫০ জন ও হাইব্রিড জাত পাবেন ৪৪০ জন, মাধনগর ইউনিয়নে উফশী জাত ৫৭০ জন ও হাইব্রিড জাত পাবেন ৯০০ জন, খাজুরা ইউনিয়নে উফশী জাত ৬৫০ জন ও হাইব্রিড জাত পাবেন ১ হাজার ৫০০ জন।  

এছাড়া পিপরুল ইউনিয়নে উফশী জাত ৫৮০ জন ও হাইব্রিড জাত পাবেন ৯১০ জন, বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নে উফশী জাত ২৫০ জন ও হাইব্রিড জাত পাবেন ৪৫০ জন।  

নলডাঙ্গা পৌরসভায় উফশী জাত ১০০ জন ও হাইব্রিড জাত পাবেন ৩০০ জন কৃষক।  

জনপ্রতি কৃষককে উফশী জাতের ধান বীজ ৫ কেজি, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং প্রতিজন কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধান বীজ প্রণোদনা হিসাবে দেওয়া হবে।

নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার ফৌজিয়া ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সরকার কৃষকদেরকে উন্নত জাত এবং নতুন নতুন উদ্ভাবিত জাতের ফসল চাষাবাদে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় এসব বীজ ও রাসায়নিক সার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যাতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সহজেই স্বল্প সময়ে ও কম খরচে ধান উৎপাদন করতে পারেন।  

এতে একদিকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

ফৌজিয়া ফেরদৌস আরও বলেন, হাইব্রিড জাতের ধান প্রতি বিঘায় গড়ে ৩৫ মন হিসাবে ১৫৮ মেট্রিক টন এবং উফশী জাতের ধান প্রতি বিঘায় গড়ে ২৬ মন হারে ধরলে প্রায় ৬৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। অর্থাৎ এবারের প্রণোদনায় পাওয়া সার ও বীজে অন্তত ২২০ মেট্রিক টন ধান এই উপজেলায় উৎপাদন হবে।


বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ২৫ নভেম্বর, ২০২২
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।