ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘পর্বতারোহণ অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
‘পর্বতারোহণ অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করে’

ঢাকা: পর্বতারোহণ মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করে বলে মন্তব্য করেছেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।  

তিনি বলেন, মানুষ তাদের অন্তর্নিহিত শক্তিগুলো কীভাবে লালন করে, তা পর্বতারোহণের মাধ্যমে বোঝা যায়।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) হিমালয়ের ২০ হাজার ৭৭৪ ফুট উঁচু ‘ডোলমা খাং’ পর্বতশিখর বিজয়ী বাংলাদেশি দলের সাংবাদিক সম্মেলন ও পতাকা-প্রত্যার্পণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দুই দেশের ছয় পর্বতারোহী ‘ডোলমা খাং’ অভিযানে অংশ নেয়।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, পর্বতারোহণ হলো ‘হিউম্যান স্পিরিট’। এর মাধ্যমে মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি বোঝা যায়। বাংলাদেশের পুনর্জাগরণের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নিতে হবে। সর্ব-বয়সী লোকজনকে এ সকল উদ্দীপনাব্যঞ্জক অভিযানে উৎসাহিত করতে হবে।

এ বছর নেপালের আবহাওয়া খারাপ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় জলবায়ু সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ায় এই ধরনের খেলনগুলো কীভাবে পরিচালনা করতে হবে, তা নিয়ে নতুন করে ভাবা দরকার।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, পর্যটনসহ নানা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। পর্যটকরা হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিচরণ করছে। তাদের নানা পদক্ষেপে দুই দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি আদান প্রদান ঘটছে। আমরা এই সহযোগিতাকে আরো এগিয়ে নিতে চাই।

নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপালের পর্বতে আরোহণকারী বাংলাদেশিরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করেছে। হিমালয়ের দুর্গম পাদদেশে বসবাসকারী জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তাদের সংস্কৃতিকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘ডোলমা খাং’ বিজয় তার অন্যতম নিদর্শন।

অ্যান্টার্কটিকা ও সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ‘ডোলমা খাং’ অভিযানের স্পন্সর ইস্পাহানি টি লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) ফজলে রাব্বি, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার ফজল মাহমুদ রনি, বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক নিয়াজ আব্দুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ‘ডোলমা খাং’ শিখরে উড়ানো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটি অতিথিদের হাতে প্রত্যার্পণ করেন এ অভিযানে বাংলাদেশিদের নেতা এম এ মুহিত। এ সময় তিনি স্লাইড শো দেখান ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।  

এসময় আরও বক্তব্য দেন, তার দুই সহযাত্রী বাহলুল মজনু ও রিয়াসাদ সানভী।  

উল্লেখ্য, ‘ডোলমা খাং’ হিমালয় পর্বতমালার অন্যতম শীর্ষ শৃঙ্গ। এর উচ্চতা ২০ হাজার ৭৭৪ ফুট। গত ১২ অক্টোবর বাংলাদেশ ও নেপালের আট পর্বত আরোহী ‘ডোলমা খাং’ অভিযান শুরু করেন। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার জন্য ১৬ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় উঠে অভিযান পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।  

এরপর দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় ২ নভেম্বর নেপালের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দুই দেশের আট পর্বতারোহী ‘ডোলমা খাং’ শীর্ষে পা রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এসসি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।