ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মত

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩
বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান হিসেবে মত দিয়ে এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের কমিটি অন কমার্স, সায়েন্স এন্ড ট্রান্সপোর্টেশন।

সিনেটের এই কমিটি একইসঙ্গে বলেছে, শাসক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যকার ‘শত্রুতা’-ই জরুরি করণীয় বিষয়গুলো থেকে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে রাখছে।



বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এসআর ২৫৩ নম্বর কক্ষে সিনেটের সংশ্লিষ্ট কমিটির এক শুনানিতে বাংলাদেশ বিষয়ে রেজুলেশন ‘এসআরইএস ৩১৮’ এর ৫টি প্রস্তাব গ্রহণ করে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সহিংসতা বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে ফলপ্রসূ সংলাপের প্রতি জোর দেওয়া হয় কমিটির শুনানিতে।

শুনানিতে গত ৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেস তারানকোর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, তারানকোর মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া সংলাপকে আরও ফলপ্রসূ ও সুদূরপ্রসারী করতে হবে।

শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য ৫টি প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। এগুলো হলো-

রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সরাসরি ফলপ্রসূ আলোচনায় বসতে হবে,

আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব পালনে সবরকমের নিরাপত্তা  নিশ্চিত করতে হবে,

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অনতিবিলম্বে সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগী হতে হবে এবং

একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিবাদের সুযোগ করে দিতে হবে।

মানবাধিকার কর্মীদের উপর নির্যাতন বন্ধে ও গ্রামীণ ব্যাংকের স্বায়ত্ত্বশাসন পুনরুজ্জীবনে সরকারকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

চলমান অচলাবস্থায় (ডেডলক) দেশের জরুরি করণীয় থেকে বিচ্যুত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সিনেট কমিটি এবং তারানকোর  উদ্যোগে  রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনাকে সমর্থন জানায় 

গত ১১ ডিসেম্বর সিনেটর ডারবিন উপর্যুক্ত সিদ্ধান্তসমূহ প্রস্তাব আকারে শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন।

শুনানির প্রস্তাবনায় সিনেটর ডারবিন বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে আঞ্চলিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ যেমন অর্থনীতি, সন্ত্রাস মোকাবেলা, দস্যূতা মোকাবেলা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি এসময় বলেন, আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বছরে ছয়শ’ কোটি মার্কিন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে ।

এছাড়া, শুনানিতে ১৮ দলের অবরোধে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু ও শিক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ