ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে মন্তব্য করবে না পাকিস্তান

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে মন্তব্য করবে না পাকিস্তান ছবি: ড. এ কে আব্দুল মোমেন

ঢাকা: মানবতাবিরোধীদের বিচার বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে পাকিস্তান আর কোনো ধরনের মন্তব্য করবে না। এরই মধ্যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে একথা বলে দেওয়া হয়েছে।

আর কথাটি এসেছে জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মাসুদ খানের মাধ্যমে।

মাসুদ খানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে রোববার বাংলানিউজকে একথা জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ড. মোমেন জানান, পাক সরকারের পক্ষে মাসুদ খান জানিয়েছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বোচ্চ ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখবে এবং তা আরও জোরালো করবে। এছাড়া, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কোনো বিষয়ে কোনো ধরনের নাক গলাবে না পাক সরকার।

পাকিস্তান সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে দিতে রাষ্ট্রদূত মাসুদ খানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ড. মোমেন।

তিনি জানান, পাকিস্তান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে যে, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে। ’

রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন এ প্রসঙ্গে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর পাকিস্তানের সংসদে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

বাংলানিউজের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, পাকিস্তান সরকারের পদক্ষেপ এ বার্তাই স্পষ্ট করে যে, মানবতাবিরোধীদের বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ তারা মেনে নিয়েছে। এছড়া, তারা স্বীকার করে নিয়েছে বিষয়টি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ ব্যাপারে তাদের কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

এদিকে, জাতিসংঘ-সংশ্লিষ্ট তথ্যাভিজ্ঞ মহলের একজন (কর্মকর্তা) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন,  পাকিস্তানের এ ধরনের পদক্ষেপের অর্থ একটাই, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতাকে দেশটি উপলব্ধি করেছে এবং মেনে নিয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক রাজনীতির ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক দিক। এ ধরনের পদক্ষেপকে বাংলাদেশের স্বাগত জানানো উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ