নিউইয়র্ক: পরাভব মানে না বাঙালি, জাতীয় সঙ্গীতে বিশ্বরেকর্ড বাঙালির বিশ্বব্যাপী।
লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়তে নিউইয়র্কের বাঙালিরা হিমাঙ্কের বৈরিতাকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েই কণ্ঠ তুলে নিয়েছেন স্বাধীনতার অমর কবিতা ‘...মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি।
মাতৃভূমি মাকে হৃদয়ে ধারণ করে ঢাকার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের সঙ্গে ঠিক একই সঙ্গে গেয়ে উঠেছেন- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। ’
শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় উন্মুক্ত আকাশের নিচে শত শত বাঙালির দেশপ্রেমে শিহরিত হলো তুষার ঝরা রাত্রি।
এখানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসেছিলেন সস্ত্রীক।
বাংলানিউজকে তার অনুভূতি জানিয়ে বললেন, ’৭১ সালে বাংলাদেশের সংঘটিত জেনোসাইডের (গণহত্যা) স্বীকৃতি জাতিসংঘে নেই। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাস করে তা জাতিসংঘে উত্থাপন করলে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবো এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখো শহীদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা জানানো হবে।
তিনি বলেন, তাই, জাতিসংঘে ৭১-এর জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাস হওয়া জরুরি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর রিকগনিশন অব জেনোসাইড-৭১ অ্যান্ড ট্রায়াল অব ওয়ার ট্রাইব্যুনালের উদ্যোগে এই লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এতে নিউইয়র্কেও সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে সংগঠনটির উদ্যোগে রাত ১২টা ১ মিনিটে একাত্তরের গণহত্যায় শহীদের স্মরণে ২৫ মার্চ কালো রাত্রিকে ‘গণহত্যা দিবস’ স্বীকৃতির দাবিতে পথসভা ও প্রদীপ মিছিল করেন শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি।
জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের নেতৃত্ব দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে আব্দুল মোমেন।
নিউইয়র্কের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরাও জাতীয় সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৪