নিউইয়র্ক: স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতিতে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে কাজ করছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।
নিউইয়র্কের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত ‘পার্টনার্স ইন পপুলেশন ডেভলপমেন্ট (পিপিডি)’ শীর্ষক বার্ষিক সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ দাবি করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে শেখ হাসিনা সরকারের স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এ আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবার প্রসারে বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী পথপ্রদর্শক।
এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে. আব্দুল মোমেন।
ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকার তৃনমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নতমানের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবায় উন্নত ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করা, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত স্পেশালাইজড ডাক্তারদের পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করাসহ তাদের কর্মস্থলে থাকা বাধ্যতামূলক করা, অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর মধ্যে আনা এবং দেশের সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
তিনি মায়েদের গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতাসহ শিশুমৃত্যুর হার ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পাওয়া উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আর্থিক যোগান চ্যালেঞ্জ বলা হলে প্রতিরক্ষা খাতে এক হাজার সাতশ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ব্যয় কমিয়ে এনে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ালে অর্থের যোগান কোনো চ্যালেঞ্জ নয়।
আব্দুল মোমেন বলেন, মূল বিষয় হচ্ছে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে কায়রোতে ‘পার্টনার্স ইন পপুলেশন ডেভলপমেন্ট (পিপিডি)’ গঠিত হয়। তখন ১০টি দেশ সদস্য হলেও এখন সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ২৬। পিপিডি’র সদর দফতর ঢাকায় অবস্থিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় জাতিসংঘ পরিচালিত পিপিডি’র সদর দফতরের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ইউএনএফপিএ-এর কেটি গিলমোর, পিপিডি-এর ড. জয়ী থমাস, উগান্ডার ফিন্যান্স মিনিস্টার ড. জো রোডম্যাপ, ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব লাভ ভারমা এবং চীনের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ ভাইস মিনিস্টার লী চু প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তৃতা করেন।
তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মনে করেন, বাংলাদেশ বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের পথ-প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে।
আলোচনা শেষে প্যানেলিস্টরা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৪