ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

নদীতে দুই রঙয়ের পানি, কী বলছে কুরআন?

জহিরুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
নদীতে দুই রঙয়ের পানি, কী বলছে কুরআন? ছবি: বাংলানিউজ

পটুয়াখালী: জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বুড়ো গৌড়াঙ্গ নদীতে পানির দুই রঙয়ের পানি দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সাধারণ ঘটনা হলেও নতুনদের মনে জাগাচ্ছে কৌতূহল।

কেউ কেউ সোনারচর ঘুরতে এসে একই নদীতে দুই রঙয়ের পানি দেখে বিস্মিত হচ্ছেন।

সারা পৃথিবী জুড়েই এটি খুবই সাধারণ একটা ঘটনা। আধুনিক বিজ্ঞানে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে। তবে স্থানীয় আলেম ওলামারা বলছেন, এ বিষয়ে এক হাজার ৪০০ বছর পূর্বে পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে।

পবিত্র কুরআনের সুরা ফুরকানের ৫৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, 
وَهُوَ الَّذِي مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَحِجْرًا مَّحْجُورًا
 
অর্থাৎ, তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, একটি সুমিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও  আরেকটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল। [সুরা ফুরকান– ২৫:৫৩]

এ সংক্রান্ত আরও কয়েকটি আয়াত, সূরা আর রাহমানের আয়াত ১৯ থেকে ২১–
مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَا يَبْغِيَانِ فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক আড়াল, যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। অতএব (হে মানব ও জ্বীন) তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে? (৫৫ঃ১৯-২১)

 সূরা নামলের ৬১তম আয়াত –

أَمَّنْ جَعَلَ الْأَرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلَالَهَا أَنْهَارًا وَجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا ۗ أَإِلَٰهٌ مَعَ اللَّهِ ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

কে পৃথিবীকে করেছে অবাসযোগ্য এবং তার মধ্যে প্রবাহিত করেছে নদী-নালা ? আর তাতে স্থাপন করেছে সুদৃঢ় পর্বতমালা এবং দুই সাগরের মাঝখানে সৃষ্টি করেছে অন্তরায়? আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোনো ইলাহ আছে? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না। (২৭:৬১)

পৃথিবীর বেশ কয়েকটি স্থানে পাশাপাশি প্রবাহিত সমুদ্র বা নদীর পানির মধ্যে স্পষ্ট ব্যবধান খুঁজে পাওয়া যায়। দেখা যায়, পাশাপাশি প্রবাহিত হলেও দুই সমুদ্রের পানির রঙ ও গঠন আলাদা এবং তারা একটি অন্যটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে না। অর্থাৎ, কোনো একটা অদৃশ্য দেয়াল যেন কাজ করছে।
 
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই ব্যবধান? এই ব্যবধানের অন্যতম কারণ হচ্ছে নদীর পানির ক্ষেত্রে ঘনত্বের ও সমুদ্রের পানির ক্ষেত্রে লবণাক্তটার পার্থক্য। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় হ্যালোক্লাইন (Halocline)।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।