ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

‘সফদার ডাক্তার’!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৬
‘সফদার ডাক্তার’!

‘‘সফদার ডাক্তার মাথাভরা টাক তার
ক্ষিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে
চেয়ারেতে রাতদিন বসে গোনে দুই-তিন
পড়ে বই আলোটারে নিভিয়ে...’’

 
‘সফদার ডাক্তার’ নামের এক পাগলা ডাক্তারের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানার কথা ছোটবেলায় আমরা পড়েছিলাম হোসনে আরার লেখা এক ছড়া-কবিতায়। ওই পাগলা ডাক্তারের কাছে রোগী এলে তিনি খুশিতে চারবার কষে ডন আর কুস্তি দিতেন।

রোগীকে ধরে গোটা দুই চাটি মারতেন। ম্যালেরিয়ার রোগীকে জোর করে কেঁচো গিলিয়ে দিতেন। আমাশয় হলে দু’হাতে রোগীর কান ধরে পেটটাকে কিলিয়ে করতেন ঠিক।

আর কলেরার রোগী এলে দুপুরের রোদে ফেলে তাকে তেতো কুইনিন খাইয়ে দিতেন। তারপর দু’টিন পচা জলে তারপিন ঢেলে তাতে করাতেন গোসল। এসব উল্টোপাল্টা বিপজ্জনক কাজের কারণে বেরসিক পুলিশ এসে একদিন ডাক্তারকে ধরে নিয়ে যায় ‘শ্রীঘরে’!

ছড়া কবিতাটিতে বর্ণিত ‘সফদার ডাক্তার’-এর মতো হাতুড়ে ডাক্তার আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশেই শুধু নয়, উন্নত দেশেও আছে।

এমনই এক ডাক্তারের খোঁজ পাওয়া গেছে খোদ আমেরিকার শিকাগো শহরে। নাম তার মিং তে লিন। চীনা বংশোদ্ভূত এ ডাক্তার শুধু চিকিৎসা দিয়েই ক্ষান্ত নন! তিনি নিজের হাতে ভ্যাকসিন বা টিকাও তৈরি করেন দিব্যি! আর তা গত বছর দশেক ধরে প্রয়োগও করে যাচ্ছেন রোগীদের ওপর।

প্রশ্ন হলো, ‘কী দিয়ে টিকা তৈরি করেন তিনি?’, শুনলে আপনি অবাকই হবেন। কোনো গাছগাছড়া বা কেমিক্যাল দিয়ে নয়, তিনি টিকা তৈরি করেন রাশান ভদকা আর বেড়ালের মুখের লালা দিয়ে!

ভয়ানক ব্যাপার হলো, এই সফদার ডাক্তার এসব টিকা প্রয়োগ করতেন মূলত শিশুরোগীদের ওপর। সাতদিনের শিশুও বাদ যায়নি।

দেরিতে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড প্রফেশনাল রেগুলেটর নামের সংস্থার লোকদের নজরে আসে ব্যাপারটা। তারা তদন্তে নামে। অবশেষে তার ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিল।

এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া খবরে বলা হয়: ‘Chicago Doc Loses License After He’s Caught Making Vodka, Cat Spit’
 
বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৬
জেএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।