ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

ওবামাকে গালি দিয়ে নায়ক!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৬
ওবামাকে গালি দিয়ে নায়ক! ছবি: সংগৃহীত

কে যে কখন নায়ক আর কখন খলনায়ক বনে যায় তা কেউ বলতে পারে না। অনেক সময় একই কাজ দু’জন করলে ফল হয় দু’রকম।

তখন লোকে বলে, ‘এক যাত্রায় দুই ফল’।  
 
ধরুন, যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা। নারীদের, মুসলিমদের আর মেক্সিকানদের গালি দিয়ে দেশে-বিদেশে নিন্দিত-সমালোচিত হচ্ছেন ট্রাম্প। লোকে তাকে ‘মাথামোটা’ আর ‘মাথাগরম’ বলতে ছাড়ছে না।

আর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে পাচ্ছেন প্রশংসা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে “...পুত”, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে “দূর হ”, “সাম্রাজ্যবাদের গোলাম” বলে নোংরা খিস্তি দিয়ে বনে গেছেন নায়ক।  
 
বেচারা ট্রাম্প! দুতার্তের দেশবাসী তার সাহসিকতার জন্য তাকে বসিয়েছে নায়কের আসনে। আর ট্রাম্পের কোটি কোটি দেশবাসী, এমনকি নিজ দলের লোকেরাও, তার ইতরপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে খড়্গহস্ত।  
 
নারীদের নিয়ে অতীতে করা বেফাঁস মন্তব্যের কারণে নির্বাচনীদৌড়ে তার রেটিংয়েরও ক্ষতি হচ্ছে অনেক। শেষমেষ ট্রাম্প নিজেও তা বুঝতে পেরে এখন ক্ষমা চাইছেন।  
 
আর দুতার্তে নিজ দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে খিস্তিবাজি আর গলাবাজি দু’টোই বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সাম্রাজ্যবাদী আখ্যা দিয়ে তার দেশ থেকে মার্কিনিদের (মার্কিন বাহিনী) ঝেঁটিয়ে বিদেয় করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।  

তার এক কথা, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের শেকল থেকে তিনি তার দেশকে মুক্ত করবেনই  করবেন। কারণও বলেছেন তিনি। ফিলিপিনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারফেকতো ইয়াসেই প্রেসিডেন্ট দুতার্তের অবস্থানের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “ফিলিপাইনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যখন বিপন্ন হয় তখন সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পাওয়া যায় না। ”
 
প্রেসিডেন্ট দুতার্তে আরও বলেছেন, এখন থেকে ফিলিপাইন আর অতীতের মতো মার্কিন দাবি ও মার্কিন স্বার্থের তাঁবেদারি করবে না।  

এছাড়া গত সপ্তাহে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে ফিলিপিনো বাহিনীর সামরিক মহড়াকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সর্বশেষ মহড়া’ বলে ঘোষণা দিয়েও ওবামা প্রশাসনের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছেন দুতার্তে।  
 
পশ্চিমারা তাতে নাখোশ হলেও দেশবাসী তাকে মাথায় তুলে নাচছে এখন। দুতার্তে-বন্দনা ফিলিপাইনে শহর তো বটেই, গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষকরা তাদের ধানক্ষেতে স্প্রে করে দুতার্তের ঢাউস প্রতিকৃতি আঁকছে। সেখানে তারা তার প্রতিকৃতির সঙ্গে ডাক নামটিও জুড়ে দিচ্ছে- “দু-থার্টি” (DU30)।
 
প্রচ্ছদের ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে দুতার্তের প্রতি তার দেশের মানুষের ভালোবাসা। এ ছবি গত ৬ অক্টোবর ম্যানিলার দক্ষিণের লাগুনা প্রদেশে তোলা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৬
জেএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।