রাজকুমারী মন্টেরে ভেলের ফেসবুক পেজে আপলোড করা শিশু ডলফিনের এ অত্যাশ্চর্য ছবি ও ভিডিওচিত্র দেখা যায়, যা পাখনায় ভর করে মন্টেইয়ের নীল জলের ওপরে দাঁড়িয়ে ছিল।
বাচ্চা ডলফিনটি বিরল অ্যালবিনো বা লিউসিস্টিক প্রজাতির, যা চামড়ার শ্বেতি-হলুদাভ বর্ণের রোগাক্রান্ত।
এক বছর বয়সে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো মন্টেই উপসাগরে দেখা গিয়েছিল ডলফিন শিশুটিকে। সে হিসেবে এটি এখন তিন বছরের বাচ্চা। তিমি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী ব্লু-হোয়্যাল ভিয়াল ওয়াচ তাকে সেবার প্রথম শনাক্ত করে ছবি আপলোড করেছিল। আর ২০১৭ সালে এসে ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, এর শ্বেতি-হলুদাভ শরীরটি অনেক বড় হয়েছে।
দু'সপ্তাহ আগে (০৭ জুন) অ্যালবিনো বা লিউসিস্টিক ডলফিন শিশুটিকে যখন প্রথমবার ধারণ করা হয়, তখন এটি একটি রিসো প্রজাতির ডলফিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। তিমি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীটি পরে একে বিরল প্রজাতির অ্যালবিনো ডলফিন বলে জানায়, যার সঙ্গে তাদের আগেও দেখা হয়েছিল।
‘প্রাণিদের মধ্যে অ্যালবিনোজম (শ্বেতি-হলুদাভ রোগাক্রান্ততা) অবিশ্বাস্যভাবে বিরল। এবং আমি মনে করি, একমাত্র পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর বলে পরিচিত এই মন্টেইয়েই অ্যালবিনো রিসো ডলফিন দেখা যায়’- লাইভ সায়েন্স পত্রিকায় বলেছেন ব্লু-হোয়্যাল ভিয়াল ওয়াচ গোষ্ঠীর কেট ক্যুমিংস।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ডলফিন শিশুকে ঘিরে বেশ কিছু উদ্বেগেরও সৃষ্টি হয়েছে। ‘তাই সুন্দর!! আমি আশা করি, এটি পরিবারের সঙ্গে নিরাপদ থাকবে!’- ফেসবুকে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন। ‘খুব শান্ত এটি, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ’- বলেছেন আরেকজন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এএসআর