কিছুদিন আগেই মঙ্গল অভিযানে যে গাড়ি ব্যবহার করা হবে, সেটি প্রদর্শনীর জন্য নেওয়া হয় নিউইয়র্কের সি-এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাল গ্রহে প্রথম পা রাখতে যাচ্ছেন যে ব্যক্তি, তিনি ইতোমধ্যেই আমাদের মাঝে জন্মগ্রহণ করেছেন।
এবার জেনে নেওয়া যাক মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে কিছু মজার ও বিস্ময়কর তথ্য-
১. সৌরজগতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম গ্রহ মঙ্গল। ব্যাসের দিক দিয়ে এ গ্রহ পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক। কিন্তু পৃথিবীর ভূ-ত্বকের ৭০ শতাংশই জলাবদ্ধ থাকায় এর ভূ-খণ্ডের পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান।
২. এর ইংরেজি নাম ‘মার্স’ শব্দটি এসেছে রোমান মাইথলজির যুদ্ধের দেবতার নাম থেকে। এর আগে জ্যোতির্বিদরা মঙ্গলকে লাল গ্রহ বলেই ডাকতেন।
৩. পৃথিবীর মতোই মঙ্গলেও আছে বায়ুমণ্ডল, পাহাড়, উপত্যকা, মরুভূমি ও মেরুদেশীয় বরফ।
৪. মঙ্গলের ভূ-পৃষ্ঠের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় তিনভাগের একভাগ। অর্থাৎ পৃথিবীতে কারো ওজন যদি হয় ১০০ কেজি, মঙ্গলগ্রহে দাঁড়াবে ৩৮ কেজি। পৃথিবীর তুলনায় তিনগুণ বেশি উচ্চতায় লাফানো যাবে মঙ্গলে।
৫. সৌরজগতের সর্ববৃহৎ পর্বত মঙ্গলগ্রহে অবস্থিত। পর্বতটির নাম অলিম্পাস মন্স, উচ্চতা ২১ কিলোমিটার।
৬. মঙ্গলের কক্ষপথ ডিম্বাকৃতির হওয়ায় বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পুরো গ্রহে শক্তিশালী বালুঝড় তৈরি হয়। কখনো কখনো এ ঝড় একমাসেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়।
৭. পৃথিবী থেকে আমরা সূর্যের যে আকৃতি দেখি, মঙ্গলগ্রহ থেকে তার অর্ধেক দেখায়।
৮. পৃথিবীর হিসাবে ৬৮৭ দিনে মঙ্গলগ্রহ সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর মতোই মঙ্গলেও ঋতুবৈচিত্র্যের দেখা মেলে। কিন্তু মঙ্গলের একটি ঋতু পৃথিবীর তুলনায় দ্বিগুণ সময় স্থায়ী হয়।
৯. মঙ্গলগ্রহের দু’টি উপগ্রহ ফোবোস ও ডেইমোস। জোনাথন সুইফটের গালিভারস্ ট্রাভেলস্ বইতে নাম দু’টির প্রথম উল্লেখ করা হয়। তবে মঙ্গলের উপগ্রহ আবিষ্কারের ১৫১ বছর আগেই গালিভারস্ ট্রাভেলস্ বইটি রচিত হয়েছিলো।
১০. পৃথিবীর মতোই মঙ্গলেরও ম্যাগনেটিক ফিল্ড রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
এনএইচটি/এএসআর